একে আজাদ, রাজবাড়ী : রাজবাড়ীর পাংশায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে গড়ে উঠেছে একটি মধু তৈরির কারখানা। বিক্রি করা হয় অনলাইনে। প্রতিষ্ঠান অনুমোদনের কোন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নেই। কারখানা সম্পর্কে অবগত নেই উপজেলা প্রশাসন। প্রতিষ্ঠানটি গড়ে উঠেছে পাংশা পৌর শহরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সত্যজিৎপুর কলেজ মোড় সংলগ্ন এলাকায়।

বুধবার (২৪ মে) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটির মেইন ফটকে লেখা রয়েছে ‘দে কটন মিল’। ভিতরে প্রবেশ করলে দেখা যায়, বোতলের গায়ে লাগানো মোড়কে প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের নাম লেখা রয়েছে ‘মুগ্ধ ফুডস্’। কারখানার ভিতরে ছোট-রড় মিলিয়ে প্রায় শতাধিক ড্রামে মধু মুজুদ রাখা হয়েছে। খোলা ড্রাম গুলোর মধ্যে বিভিন্ন ময়লা আবর্জনা সহ বিভিন্ন পোকা পড়ে আছে। যা রয়েছে সম্পুর্ণ অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে। এছাড়াও মুগ্ধ কালোজিরার তেল তৈরি করা হয় এই প্রতিষ্ঠানে। মুগ্ধ কালোজিরার তেলের মোড়ক যুক্ত বোতল, আচার, মাটির পাতিল ভর্তি গুড় দেখা যায় কারখানাটিতে।
স্থানীয়রা জানায়, তাঁরা সুনেছেন এই কারখানায় মধু তৈরি হয়। কারখানাটির গেট সব সময় বন্ধ থাকায় কারখানার ভিতরের পরিবেশ সম্পর্কে জানেন না কেউ।

কারখানার ম্যানেজার বকুল হোসেন জানান, এখানে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মধু সংগ্রহ করে আনা হয়। সে সব মধু মেশিনের মাধ্যমে পরিস্কার করে বোতল যাত করা হয়। ফরিদপুরে আমাদের অফিস আছে। এখানকার সব মধু সেখান থেকে অনলাইন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিক্রয় করা হয়। কালোজিরার তেল আমরা এখনো তৈরি করা শুরু করিনী। তবে অল্প সময়ের মধ্যে শুরু করবো। এই কারখানায় ৪-৫ জন মহিলা কাজ করে। তারা আজ সবাই ছুটিতে আছে।

কারখানার বৈধ অনুমোদন বা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আছে কিনা জনতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের কারখানা সকল প্রকার বৈধ কাগজপত্র আছে। তবে কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেনি তিনি। কারখানায় রাখা আচার ও গুড় তাঁরা নিজেদের খাওয়ার জন্য রেখেছেন বলে দাবি করে।

কারখানার স্বত্তাধিকারী মো. নাসির উদ্দিনের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।

পাংশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ জাফর সাদিক চৌধুরী বলেন, এমন কোন কারখানা সম্পর্কে অবগত নেই। খোজ নিয়ে দেখবো এবং সত্যতা পেলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

(একে/এসপি/মে ২৫, ২০২৩)