আবীর আহাদ


দুর্নীতি ও লুটপাট করে যারা আমেরিকা যুক্তরাজ্য কানাডা পানামা ফিনল্যাণ্ড সুইজারল্যান্ড দুবাই মালায়েশিয়া সিঙ্গাপুর ভারত প্রভৃতি দেশে বিপুল অর্থ পাচার করেছে; সেসব দেশে সেকেণ্ড হোম বানিয়ে রাজসিক জীবন যাপন করছে, নিশ্চয়ই সরকারের নিকট তাদের তালিকা রয়েছে। এদের কারণে দেশের অর্থনীতিতে মারাত্মক সংকট সৃষ্টি হয়েছে। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে এতে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বিনষ্ট হচ্ছে। দেশের উন্নয়ন হচ্ছে বাধাগ্রস্ত। দেশের মানুষ সীমাহীন কষ্টে আছেন। এসব অর্থ পাচারকারী অপরাধীদের পার পাওয়ার সুযোগ দেয়া যায় না। এদের এক্ষুণি ধরুন। কঠোর শাস্তি দিন। পাচারকৃত অর্থ দেশে ফিরিয়ে এনে তা বাজেয়াপ্ত করুন। সেই অর্থ দেশের উন্নয়ন ও বাজার ব্যবস্থায় বিনিয়োগ করে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণ করে জনগণের জীবনযাত্রাকে সহজতর করুন। এটা এখন দেশের কোটি কোটি সাধারণ দাবী।

মনে রাখতে হবে, এটা মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ। দেশের বীর মুক্তিযোদ্ধা ও জনগণের সীমাহীন ত্যাগ রক্ত ও বীরত্বে অর্জিত দেশ। ১৭ কোটি মানুষের দেশ। দেশটা গুটিকয়েক দুর্নীতিবাজ লুটেরা ও প্রতারকচক্রের নয়। এবং এসব অপরাধীচক্র নিশ্চয়ই সরকারের চাইতে শক্তিশালী নয়। এভাবে চলতে থাকলে সবার অলক্ষ্যে একটা বিপ্লব সংঘটিত হবে। অতএব, অনিবার্যব্য বিপর্যয় এড়াতে এক্ষণি লাগাম টেনে ধরুন।

লেখক : চেয়ারম্যান, একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধা সংসদ।