শ্রীনগর প্রতিনিধি : মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার বাঘড়া ইউনিয়নের রুদ্রপাড়ায় ব্যক্তি মালিকানা জায়গা দখলের পাঁয়তারা ও নির্মাণাধীন পাকা স্থাপনা ভাঙচূরের অভিযোগ উঠেছে। শ্রীনগর-দোহার আঞ্চলিক সড়কের রুদ্রপাড়া দারুল কুরআন মাদানীয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার পাশে এই ঘটনা ঘটে। ইউনিয়নটির ৫নং ওয়ার্ডের হিরুন মৃধার পুত্র আবু কালাম মৃধার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ৪নং ওয়ার্ডের ভুক্তভোগী আমিনুল ইসলামের স্ত্রী মোসাম্মৎ শেখ মুগনীইউ আবু কালাম মৃধাসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে শ্রীনগর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।

সরেজমিনে গিয়ে সড়কের দক্ষিণ পাশে নির্মাণাধীন স্থাপনার ইটের একাধিক পিলার ও দেয়ালের ভাঙা অংশ পড়ে থাকতে দেখা গেছে। ভাঙা স্থাপনাগুলো শ্রমিকদের ফের নির্মাণ করতে দেখা গেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নূর ইসলাম মাস্টারের পুত্র আমেরিকা প্রবাসী আমিনুল ইসলাম ক্রয়কৃত জমিতে দোকান নির্মাণ করছেন। প্রতিবেশী ডেকোরেটর ব্যবসায়ী ও সাবেক বিএনপি নেতা আবু কালাম মৃধার দাবি আমিনুল ইসলামের কাছে জায়গা পাবেন। কয়েক বছর আগে স্থানীয়ভাবে উভয় পক্ষ এক বৈঠকে বসে এ বিষয়ে সমাধানও করা হয়। অথচ আবু কালাম মৃধা এখন ফের জমির দাবি করে বেড়াচ্ছেন। গত বৃহস্পতিবার রাতে আমিনুল ইসলামের নির্মাণাধীন পাকা স্থাপনা ভেঙে ফেলে দুর্বৃত্তরা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাঘড়া মৌজার রুদ্রপাড়ায় আরএস ৭৫৪৫নং দাগসহ মোট ৩টি দাগে মোট সম্পতির ১ একর ২৬ শতাংশ জমি ক্রয়সূত্রে মালিক আমিনুল ইসলাম। প্রতিপক্ষ আবু কালাম মৃধা কয়েক বছর ধরে আমিনুল ইসলামের কাছে সম্পত্তি পাওয়ার দাবি করে আসছে। অথচ আবুল কালাম মৃধা দাবিকৃত জমির কোন বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। পরে আমিনুল ইসলামের স্ত্রী শেখ মুগনীইউ বাদি হয়ে অতিরিক্ত মুন্সীগঞ্জ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পিটিশন মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-৩৬৮/২০১৬। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৭ এপ্রিল ২০১৭ খ্রীঃ বিজ্ঞ আদালত আবু কালাম মৃধা গংদের বিরুদ্ধে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা প্রদান করেন।

মোসাম্মৎ শেখ মুগনীইউ বলেন, আবু কালাম মৃধা যে জায়গার দাবি করছেন তার কোন ভিত্তি নেই। আমাদের জায়গার সীমানার পরেই তার জায়গা রয়েছে। তার পরেও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কথামত ১ শতাংশ জায়গা দেওয়া হয়েছে। এর পরেও জায়গা দখলের পাঁয়তারা করছেন তিনি। রাতের আধারে আমাদের নির্মাণাধীন পাঁকা স্থাপনা দুর্বৃত্তরা ভেঙে ফেললে উপায় না পেয়ে শ্রীনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করি।

আবু কালাম মৃধার কাছে এ বিষয়ে জানতে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তার পাঁকা স্থাপনা ভাঙার বিষয়ে আমি সম্পৃক্ত নই। আমি আমিনুল ইসলামের কাছে ১ শতাংশ জমি পাই। ৩ বছর আগে সামাজিকভাবে বসা হলে জায়গা দেন। কিন্তু নামজারী করে দিচ্ছে না।

শ্রীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আমিনুল ইসলাম জানান, এ ব্যাপারে অভিযোগ হয়েছে জানতে পেরেছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(এএম/এসপি/মে ২৮, ২০২৩)