ওয়াজেদুর রহমান কনক, নীলফামারী : 'বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার স্বপ্ন অনেক আগে থেকেই দেখেছেন। কিন্তু তিনি অখন্ড ভারতে বাংলাদেশের স্বাধীনতার দাবি দুরূহ মনে করেছিলেন। ৪৮ সালেই তিনি বুঝেছিলাম পাকিস্থানের সাথে আমাদের থাকা সম্ভব না। তারা সবচেয়ে বড় আঘাতটা করলো আমাদের ভাষার ওপর। তখন থেকেই সূত্রপাত হলো আন্দোলনের। বঙ্গবন্ধু সহিংস আন্দোলন করেননি। এক্ষেত্রে তিনি মহাত্মা গান্ধীর মতবাদ অনুসরণ করেছেন। তিনি সব সময় শান্তির কথা বলেছেন। এই পথ অনুসরণ করেই তিনি প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে অগ্রসর হয়েছেন, তিনি কোন সহিংস আন্দোলনে পা বাড়াননি। অহিংস আন্দোলন করে নিজে জেলে গেছেন, বছরের পর বছর জেল খেটেছেন, পরিবার পরিজন থেকে দূরে থেকেছেন।'

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষে নীলফামারী জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসন আয়োজিত আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় দেশ বরেণ্য সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব ও নীলফামারী-২ আসনের সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর এসব কথা বলেছেন।

আজ বিকেলে জেলা শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন নীলফামারী-২ আসনের সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর।

জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট মমতাজুল হক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল হক, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহিদ মাহমুদ, জেলা স্বাচিপ সাধারণ সম্পাদক ডাঃ মজিবুল হাসান চৌধুরী শাহিন, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আহবায়ক আহসান রহীম মঞ্জিল।

বঙ্গবন্ধুর জুলিও কুরি পদক প্রাপ্তি উপলক্ষে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আয়োজিত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করেন আমন্ত্রিত অতিথিরা।

(ওআরকে/এএস/মে ২৮, ২০২৩)