গালিব চৌধুরী

তোমার হাতে হাত রেখে সেদিন হেঁটেছিলাম কত ক্রোশ পথ
উদ্দেশ্যহীন সে পথ চলায় ছিল কী আনন্দ!
অতঃপর শেষ বিকেলে তোমার যাওয়ার পথে নিষ্পলক চেয়ে থাকা
তুমিও কিছু দূর চলে পিছু ফিরে তাকিয়েছিলে
তোমার সেই লাজদৃষ্টি বুকের ভেতর প্রেমের নবজোয়ার সৃষ্টি করেছিল।

নিজ মনে আওড়াচ্ছিলাম রুদ্রের কবিতার সেই অমর পঙতি
‘চলে যাওয়া মানে প্রস্থান নয়-বিচ্ছেদ নয়।’

তোমার সাথে কেন দূরের দিগন্ত ছুঁতে মন চায়-জানিনা!
ধান খেতের আইল, মেঠোপথ ধরে এগুনো-চিকলির বিলে বেড়ানো
তিস্তার কূল পেরিয়ে যেতে চাই দূর বহুদূর
কপালে আর কপোলে চলবে ওষ্ঠ-অধরের অকৃত্রিম স্বর্গীয় খেলা।

তোমায় নিয়ে কেন শিমুল বাগানে হারাতে মন চায়-
জানিনা!
কোকিলের কুহুতান,
শীতের পাতাঝরা মর্মর শব্দ, মৃদুমন্দ দখিনা হাওয়ার দোলা,
নদীর পানিতে পাখির ডানা ঝাপটানোর আওয়াজ,
দূরের জনকোলাহল,
কিংবা মদিরাবিহীন নেশা
কিছুতেই কিছু যায় আসে না, আমার সম্মুখজুড়ে আজ শুধুই তুমি!

তোমার হাতে হাত রেখে চলবো
ঝুম বৃষ্টিতে ভিজে শুচিতার গান গাইবো
আসছে বর্ষায় মর্তে প্রেমের বান বয়ে যাবে কি?
প্রলয় আসুক এ ধরায়, আমার তাতে কী!

কোনো এক রাতে তোমার সাথে জোৎস্না বিলাসের সুখ নিবো
যাপিত জীবনের সুখ-দুঃখের গল্পের ঝুলি খুলে বসবো।
আকাশভরা তারা গুনে রাত শেষে ভোর হবে
নতুন একটি সকাল আসবে
যে সকালে তুমি আমায় ছেড়ে যাবে না।

তোমার হাত ধরে চলবো মহাকালের পথে
আমার হাতের সেই ছোঁয়া,
ঠোঁটের ছোঁয়া,
সে কি তোমার হৃদয় ছুঁতে পারবে?