সালথা প্রতিনিধি : ফরিদপুরের সালথা উপজেলার আটঘর  ইউনিয়নের বিভাগদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে বার বার সংস্কারের মাত্র কয়েক মাসের মধ্যে রাস্তা ধ্বসে পড়ায় চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্কুল শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীকে। পার্শ্ববর্তী বোয়ালমারী উপজেলা ও সালথা উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় দাদপুর ইউনিয়নের নতুবদিয়া মৌখালি ব্রিজ হইতে শুরু হয়েছে সালথা উপজেলা,বিভাগদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত ৫শত মিটার যাতায়াতের একমাত্র রাস্তাটির কয়েকটি পয়েন্টে ধসে নিশ্চিহ্ন হওয়ায় ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-কর্মচারী ও এলাকাবাসীর চলাচলে দুর্ভোগের শিকার হলেও সংস্কারের উদ্যোগ নেই।

সরেজমিন দেখা গেছে, বিভাগদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে সড়কের অন্তত ১৫ফুট রাস্তা ধসে পড়ে বিলীন হয়ে গেছে। এতে শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী পায়ে হেঁটে যাতায়াত করতে পারলেও রিকশা-ভ্যানসহ অন্যান্য যানবাহন চলাচল বন্ধ হওয়ার পথে। ফলে এলাকাবাসীদের যাতায়াতে পোহাতে হচ্ছে দুর্ভোগ। জেলা ও উপজেলা শহরে যাতায়াতের একমাত্র সড়ক এটি। যা এখন ক্রমে বিলিনের পথে। রাস্তা দিয়ে যানবাহন তো দূরের কথা পায়ে হেঁটে চলাও দুরূহ। এছাড়াও রাস্তাটি দিয়ে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করে থাকে কিন্তু বর্ষা মৌসুমে রাস্তাটিতে কাদা পানি থাকার কারণে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে যেতে পারে না শিক্ষার্থীরা। দীর্ঘ সময় পার হলেও গ্রামীণ এই অবহেলিত মরণফাঁদ রাস্তায় এখন পর্যন্ত আধুনিকতার কোনো ছোঁয়া লাগেনি।

এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, রাস্তাটি দিয়ে প্রতিদিন শতশত মানুষ চলাচল করছে। ইউনিয়নের বিভিন্ন বড় রাস্তাসহ অনেক ছোটখাটো রাস্তা পাকা করণ করলেও এরকম একটা গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা পাকা করণ করা হচ্ছে না। বিকল্প কোন সড়ক পথ না থাকায় জরুরি সংস্কার প্রয়োজন হলেও এটি সংস্কারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোন উদ্যোগ নেই বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

ভ্যান চালক অসিম বলেন, দিন আনি দিন খাই। প্রতিদিন কাজের তাগিদে রাস্তায় ভ্যান নিয়ে বের হতে হয়। এই গর্তের কারণে ভ্যান ও ভারী মালামাল নিয়ে চলাচলের খুবই সমস্যা হচ্ছে আমাদের। দ্রুত রাস্তা সংস্কারের দাবি জানাই।

ইউপি সদস্য মাসুদ বলেন, দুই উপজেলার ১০ গ্রামের প্রায় ২হাজারেরও বেশি মানুষ প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করে থাকে। ৫শত মিটার কাঁচা রাস্তার জন্য ৩ কিলোমিটার ঘুরে চলাচল করতে হয়। সামান্য বৃষ্টি হলেই এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করা অসম্ভব হয়ে পড়ে। ভারী বৃষ্টি হলে রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় খানাখন্দ হয়ে যায়। কয়েকমাস আগে বৃষ্টির পানির চাপে বড় একটি গর্ত হওয়ার কারণে যানবাহন ও সাধারণ মানুষের চলাচলে খুবই কষ্ট হচ্ছে। আমি এই রাস্তা সংস্কার ও পাকাকরণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবী জানাই।

বিভাগদী উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মোঃ শাহিন বলেন, আমি একাধিক বার নিজ অর্থায়নে গর্তটি সংস্কার করেছি। কিন্তু ভারী বৃষ্টি হলে পানির স্রোতে আবার গর্ত হয়ে যায়। বিভিন্ন এলাকার মানুষ প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করেন। রাস্তাটি পাকাকরণ করলে মানুষের চলাচলে সুবিধা হবে। রাস্তাটি দ্রুত মেরামত করার জন্য আমিও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবী জানাই।

আটঘর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শহিদুল হাসান খান সোহাগ বলেন, রাস্তাটিতে মাটির কাজ করা হয়েছে, নদী পাড়ের রাস্তা হওয়ায় বৃষ্টিতে বার বার ভেঙে যায়। পুনরায় সংস্কারে অতি দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

(এএন/এসপি/জুন ০৯, ২০২৩)