কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : ইবি’র নবনির্মিত শেখ হাসিনা হলের দেয়ালে দেখা দিয়েছে ফাটল। এখানে সেখানে খসে পড়ছে পলেস্তরা। গত জুন মাসে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শেখ হাসিনা হলের নির্মাণ কাজ শেষ হয়। প্রায় সাড়ে ১১ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ৫ তলা হলটির জন্য এরই মধ্যে প্রভোস্ট নিয়োগ দেয়া হয়েছে। আগামী নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে ছাত্রীদের হলে ওঠার প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গেছে।

নির্মাণ শেষ হওয়ার চার মাস পার না হতেই ভবনটির এমন অবস্থা দেখে কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দায়িত্বশীলদের দাবি, তারা এ বিষয়ে অবগত নন।

ইবির প্রকৌশল অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে ২৫০ শয্যার ৫তলা এ হল নির্মাণে টেন্ডার আহ্বান করা হয়। ওই বছরের ২ আগস্ট শুরু হয় নির্মাণ কাজ। ১১ কোটি ১৪ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ হলের গত ২৮ জুন কাজ শেষ হয়।

কিন্তু উদ্বোধনের আগেই শেখ হাসিনা হলের দেয়ালের বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে ফাটল। এ হলের পঞ্চম তলায় ছাদের কাছাকাছি কিছু জায়গায় ও বীমের সংযোগস্থলে ফাটল ধরেছে। বড় একটি ফাটল দেখা গেছে পশ্চিম পাশের দেয়ালের কার্নিসের নিচে। এই তলার দেয়ালের বিভিন্নস্থানে ডজনখানেক ফাটলের দেখা দিয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হলের এক কর্মচারী অভিযোগ করেন, নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কয়েক সপ্তাহ পরপরই পঞ্চম তলার একাধিক জায়গায় বেশ কিছু সরু ফাটল দেখা দেয়। পরে গোপনে চুন ও সিমেন্ট-বালির মিশ্রণ দিয়ে সেসব ঢেকে দেয়া হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী মকবুল হোসেন বলেন, এমনটি হওয়ার কথা নয়। তবে শেখ হাসিনা হলের পুরোটা এখনও ঘুরে দেখিনি। যদি এমন কিছু পাওয়া যায়, তবে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হবে।

তবে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কেইএনআইজেভি কন্সট্রাকশনের স্বত্বাধিকারী নুরুল ইসলামের দাবি, ফাটলগুলো আসলে ফাটল নয়! বড় বড় ভবনে ওপরের তলায় এমনটা হয়ে থাকে। এটা হয় রডের কারণে। নির্মাণগত কিছু কৌশলের কারণে অনেক সময় ওপরে ফাঁকা রেখে কাজ করতে হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. আবদুল হাকিম সরকার বলেন, এই টেন্ডার হয়েছে সাবেক ভিসির সময়ে, ভবনটির সঙ্গে তাই আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তবে নির্মাণে ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকলে তদন্তের মাধ্যমে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।


(কেকে/এএস/অক্টোবর ২৮, ২০১৪)