ওয়াজেদুর রহমান কনক, নীলফামারী : নীলফামারীর অনিরাপদ লেভেল ক্রসিংগুলো পরিণত হয়েছে মরণ ফাঁদে। ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে মানুষসহ অসংখ্য যানবাহন। গেল ৬ মাসে ট্রেনে কাটা পড়ে প্রাণ হারিয়েছে ১১জন।

সৈয়দপুর রেলওয়ে বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, জেলার চিলাহাটি রেলওয়ে ষ্টেশন থেকে সৈয়দপুর রেলওয়ে ষ্টেশন পর্যন্ত মোট ৩৩টি লেভেল ক্রোসিং অনুমোদিত। এর মধ্যে ১২টিতে গেটম্যান রয়েছে। গত ২০২১ সালে ট্রেনে কাটা পড়ে শিশুসহ অন্তত ১৫জনের মৃত্যু হয়েছে। ২০২২ সালে জেলার বিভিন্ন স্থানে ট্রেনে কাটা পড়ে মোট ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে, ২৬ জানুয়ারী, ২০২২ তারিখে জেলার সদর উপজেলার দাড়োয়ানি লেভেল ক্রসিং এলাকায় ট্রেন ও একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার মধ্যে এক মর্মান্তিক সংঘর্ষে চারজন মহিলা ইপিজেড কর্মী প্রাণ হারিয়েছেন। চলতি ২০২৩ সালের গেল ৬ মাসে ট্রেনে কাটা পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন মোট ১১জন। এর মধ্যে গত ৪ জুলাই জেলার সৈয়দপুর উপজেলার ঢেলাপীর নামক স্থানে ট্রেনে কাটা পড়ে দ্বিখন্ডিত হয় যুবকের দেহ।

এদিকে, প্রতিদিন বাইসাইকেল, রিকশা, অটোরিকশা, সিএনজি, ট্রাক্টর, পিকআপ, মাইক্রোবাস, মিনিবাসসহ হাজার হাজার পথচারী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ওই সমস্ত অরক্ষিত লেভেল ক্রোসিং দিয়ে যাতায়াত করছেন। ফলে এসব অরক্ষিত লেভেল ক্রসিংগুলো দিনের পর দিন মরণ ফাঁদে পরিণত হওয়ায় প্রাণহানির ঘটনা নিত্য নৈমিত্তিক হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সৈয়দপুর রেলওয়ে বিভাগের উর্ধতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. সুলতান আলী জানিয়েছেন, “সৈয়দপুর থেকে নীলফামারী জেলার চিলাহাটি পর্যন্ত মোট ৩৩টি লেভেল ক্রোসিং অনুমোদিত। এর মধ্যে ১২টিতে গেইটম্যান রয়েছে”।

চিলাহাটি থেকে সৈয়দপুর রেলওয়ে ষ্টেশন পর্যন্ত মোট ৩৩টি অনুমোদিত লেভেল ক্রোসিং থাকলেও, গেইটম্যান রয়েছে মাত্র ১২টিতে। বাকী ২১টি লেভেল ক্রোসিংই রয়েছে অরক্ষিত। প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলচল করছে মানুষসহ অসংখ্য যানবাহন। অরক্ষিত লেভেল ক্রোসিং গুলো নিরাপদ করার দাবী জানিয়েছেন স্বজনহারা পরিবারসহ নীলফামারী সচেতন মহল।

(ওআরকে/এএস/জুলাই ০৬, ২০২৩)