বিশেষ প্রতিনিধি, মাদারীপুর : জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী বলেন, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ একদিন মংলা বন্দর, পায়রা বন্দর এমনকি ভারতের সাথেও সংযুক্ত হবে। ভারতের সাথে সংযোগ হওয়ার কারণে আপনারা নিজের ঘরের সামনে থেকে রেলে চড়ে ভারতসহ বিভিন্ন জায়গায় যেতে পারবেন। চিকিৎসা, লেখাপড়ার জন্য আরো সুযোগ আমাদের দেশের মানুষ পাবেন। সেই আলোকে প্রধানমন্ত্রী ব্যাপক উন্নতি করছেন। 

আজ শুক্রবার সকালে মাদারীপুরের শিবচরের দত্তপাড়ার বাচামারা নদীর উপর হাতিরঝিলের আদলে নির্মিত দাদাভাই সেতু উদ্বোধন শেষে স্থানীয় গণ্যমান্য ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে চীফ হুইপ এসব কথা বলেন।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর মাদারীপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আশরাফ আলী খান এর সভাপতিত্বে এসময় মাদারীপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মারুফুর রশিদ খান, বাংলাদেশ ফরায়েজী আন্দোলনের সভাপতি বাহাদুরপুর মঞ্জিলের গদিনশীন পীর হযরত মাওলানা আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ হাসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ঝোটন চন্দ্র, শিবচর উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আ. লতিফ মোল্লা, পৌরসভার মেয়র মো. আওলাদ হোসেন খান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাজিবুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব শাজাহান মোল্লা, উপজেলা প্রকৌশলী একেএম রেজাউল করিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে চীফ হুইপ বাহাদুরপুর এলাকায় মেসার্স এ এইচ কে ফিলিং স্টেশন উদ্বোধন করেন। পরে চীফ হুইপ জুমার নামাজ আদায় শেষে দ্বিতীয়খন্ড ইউনিয়নে একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগদান করেন।

এ সময় চীফ হুইপ আরো বলেন, আমাদের স্বপ্নের সেতু পদ্মা সেতু। ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু কিন্তু এই সড়কের জন্য ৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে এই সড়ক এবং পদ্মা সেতু অনেক আগেই আমরা পেতাম। বিভিন্ন রাজনৈতিক কারণে বিভিন্ন সরকার ক্ষমতায় থাকার কারণে আমাদের সেতু করতে দেয়নি। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সাহসী ভূমিকার কারণে, কত দেশি বিদেশী ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে দেশের নিজস্ব অর্থায়নে, আপনাদের টাকায় আমাদের সকলের টাকায় এই পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। আমরা রাস্তা পাবো, ব্রীজ পাবো ভেবেছি কিন্তু রেল লাইন পাবো এটা আমরা কখনো ভাবতেও পারিনি। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের রেল সংযোগ পাওয়ার দাবী কিন্তু কখনো ছিলো না। না চাওয়ার পরও প্রধানমন্ত্রী আমাদের জন্য এই রেল লাইন করে দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, দাদাভাই সেতুটির দৈর্ঘ্য ২৪৫ মিটার, প্রস্থ ৭.৩ মিটার। সেতুর নির্মাণ ব্যয় প্রায় সাড়ে ২৯ কোটি টাকা।

(এএসএ/এসপি/জুলাই ০৭, ২০২৩)