কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : কুষ্টিয়ার খোকসার চরবিহারীয়া গ্রামে এক রাতে তিন সংখ্যালঘুর বাড়িতে ডাকাতি হয়েছে। সক্রিয় হয়ে ওঠা ডাকাত ও সন্ত্রাসীদের হামলার আতঙ্কে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত পাঁচটি গ্রামের মানুষ অরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে।

জানা গেছে, মঙ্গলবার দিবাগত রাতে চরবিহারীয়া গ্রামের সনাতন মণ্ডলের বাড়িতে ১০/১২ জন ডাকাত হানাদিয়ে গৃহকর্তাকে ঘুম থেকে ডেকে তোলে। ডাকাতরা নিজেদের পাটির লোক পরিচয় দিয়ে গৃহকর্তার দুই ছেলে সঞ্জয় মণ্ডল ও সুজন মণ্ডলকে ডেকে তুলতে বাধ্য করে। এক পর্যায়ে বাড়ির সবাইকে এক ঘরে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তারা ডাকাতি শুরু করে। এ গ্রামের প্রফুল্ল মণ্ডল ও সুনিল শিকদারের বাড়িতে একই কৌশলে ডাকাতির ঘটনা ঘটায়। ডাকাতরা তিন বাড়ি থেকে স্বর্ণালংকার, ফসল বিক্রির নগদ টাকাসহ প্রায় পাঁচ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে যায়। প্রায় ২ ঘন্টা ধরে ডাকাতি চালিয়ে ডাকাতরা চলে গেলে ভোর ৫টার দিকে খোকসা থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। ডাকাত দলের হামলায় ক্ষতিগ্রস্থরা জানায়, মুখোশ পরা ডাকাতরা ১০/১২ জন ছিল। প্রত্যেকের কাছে ধারালো অস্ত্র ছিল।

সংখ্যালঘু অধ্যুষিত উপজেলার মাসুয়া ঘাটা, চর বিহারীয়া, একতারপুর, ঈশ্বরদীসহ আশে পাশের পাঁচটি গ্রামে চাঁদাবাজী, ডাকাতি ও সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা উদ্বেগ জনক ভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পরেছে।

ক্ষতিগ্রস্থ সুনিল শিকদার জানান, কয়েক সপ্তাহ আগেও তাদের পাশের গ্রাম মাসুয়াঘাটার সংখ্যালঘুদের উপর একাধিক সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনার পর গ্রামে পুলিশ আসে আর যায়, কোন লাভই হয়না।

খোকসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মতিয়ার রহমান ডাকাতির ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। তবে সন্ত্রাসীরা কেন ডাকাতি করলো তা নিয়ে তিনি চিন্তিত। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে তিনি জানান।

(কেকে/এএস/অক্টোবর ২৯, ২০১৪)