স্টাফ রিপোর্টার, পঞ্চগড় : গত ৩ মার্চ পঞ্চগড়ে আহমদিয়া মুসলিম অনুসারীদের জলসা বন্ধের দাবিতে সংঘটিত সংঘর্ষে নিহত আরিফুর রহমান আরিফের মরদেহ পাঁচ মাস পর কবর থেকে উত্তোলন করেছে পুলিশ।

আজ সোমবার সকালে পঞ্চগড় পৌরসভার কেন্দ্রীয় গোরস্থান থেকে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে মরদেহটি উত্তোলন করা হয়।

থানা পুলিশ জানায়, ঘটনার পর নিহতের পরিবার কোন অভিযোগ বা মামলা দায়ের না করায় গত ৪ জুন পঞ্চগড় সদর থানার উপ-পরিদর্শক ফরহাদ হোসেন বাদী হয়ে একটি সুয়োমুটো মামলা দায়ের করে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মৃত্যুর কারণ জানতে আদালতের নির্দেশে মরদেহটি উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়।

পঞ্চগড় পুলিশ সুপার এসএম সিরাজুর হুদা মরদেহ উত্তোলনের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, "যেহেতু নিহতের পরিবার কোন মামলা দায়ের করেনি, তাই পুলিশ বাদি হয়ে মামলা দায়ের করে। মৃত্যুর কারণ জানতেই আদালতের নির্দেশে মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে।"

নিহত আরিফ পঞ্চগড়ের মহিলা কলেজ রোড এলাকার ফরমান আলীর ছেলে।

এর আগে গত তিন মার্চ শুক্রবার পঞ্চগড়ের আহমদ নগর এলাকায় মুসলিম জামায়াতের সালনা জলসা বন্ধের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল বের হলে আরিফ মিছিলের অগ্রভাগে থেকে এগুতে থাকে। পুলিশ মিছিলে বাধা দিলে মিছিলকারীদের সাথে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে। প্রায় ১০ ঘণ্টা ধরে চলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া।

উল্লেখ্য, ৩,৪ ও ৫ মার্চ তিনব্যাপী পঞ্চগড় জেলায় মুসলিম জামায়াত অধ্যুষিত আহমদনগর, শালাশিড়ি ও সোনাচান্দি গ্রামের ১৮৬টি বাড়ি লুটপাট শেষে জ্বালিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। ওই সংঘর্ষে আহমদীয় জামাতপন্থী ৮৫ জন আহত হয়, ৩ মার্চ খুন হয় জলসায় আসা, নাটোর জেলার বড়াইগ্রাম থানার নোটটা বাড়িয়া গ্রামের মো. আবু বকর সিদ্দিকীর পুত্র মো. জাহিদ হাসান। ওইদিনই আহত অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যায়, মো.আরিফুর রহমান আরিফ।ওই সমস্ত ঘটনায় পঞ্চগড় সদর ও বোদা থানায় পৃথক পৃথক মামলা হয়েছে ৩৪টি, এযাবৎ পুলিশ গ্রেফতার করেছে ২২৯ জনকে।

(এআর/এসপি/জুলাই ১০, ২০২৩)