প্রসেনজিৎ বিশ্বাস, নগরকান্দা : নগরকান্দা উপজেলার ডাঙ্গী ইউনিয়নের ডাঙ্গী গ্রামের সৌয়াদ আলী মোল্লার ছেলে সোহেল মোল্লা (৩৪) স্ত্রীর অনুমতি না নিয়ে পঞ্চম বিবাহের অভিযোগ করলেন স্ত্রী ও এলাকাবাসী।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, সোহেল মোল্লা পেশায় বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করেছেন তিনি।বিবাহের জন্য কর্মস্থল পরিত্যাগ করে চলে আসেন। তার বর্তমানে এক স্ত্রী দুই কন্যা সন্তান ও এক পুত্র সন্তান রয়েছে। যে খানে গ্রামে ভাষায় বলেন নুন আনতে পান্তা ফুরায় সেখানে একের পর এক বিবাহ করে চলেছেন এই সোহেল। স্ত্রী ও কন্যা সন্তানকে ভরণ পোষণ দিতে ব্যর্থ, দিচ্ছেন তার দাদা-দাদী । সেখানে একের পর এক প্রতারণা করে বিবাহ-নামক অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ছেন।

সাংবাদিক ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে একাধিকবার বৈধ কাগজপত্র চাইলেও দিতে ব্যর্থ হন।

এ সময় তার পিতা ও মাতা অভিযোগ করে বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হালুয়াঘাট থানার ময়মনসিংহ জেলার থেকে একটি মেয়ে নিয়ে আসে বাড়িতে। মেয়েটির তিনটি সন্তানও রয়েছে। তার স্বামী মালয়েশিয়া কর্মরত আছেন। আমরা ঘরে উঠতে বাধা দেওয়া আমাদের লাঠি দিয়ে বারি দিয়ে হাত ভেঙে ফেলে।একের পর এক বিবাহ করছেন দুই এক দিন পরপরই সোহেলকে ছেড়ে চলে যায়। যা আমরা সমাজের মুখ দেখাতে পারছি না। এ কে জেল হাজতে ও প্রশাসনের হস্তক্ষে কামনা করি।

তৃতীয় স্ত্রী সাথি আক্তার নিউজ কে অভিযোগ করে বলেন, রাতে আমার গলা টিপে ধরে গলায় একটি দাগও আছে, যা আমি প্রাণ সংশয় আছি। মেরে ফেলে হুমকি দেয়, আইনের হস্তক্ষেপ কামনা করি।

এ বিষয়ে ওয়ার্ড মেম্বার মোঃ আবুল হোসেন বলেন,সৌয়াদ আলী মোল্লা একজন ভালো মানুষ কিন্তু তার ছেলে এমন কর্মকাণ্ড এবং সমাজে বিরূপ প্রকাশ করছে যা দুঃখজনক।

এ বিষয়ে ডাঙ্গী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান কাজী আবুল কামাল নিউজ কে বলেন, এই ধরনের কর্মকাণ্ড সমাজে খারাপ প্রভাব পড়ে তাই তার শাস্তি হওয়া উচিত।

এ বিষয়ে নগরকান্দা থানার এসআই আনোয়ার হোসেন বলেন, এই ব্যক্তির বিবাহ গঠিত আগেরও একটি মামলা হয়েছিল আমার জানা আছে এর চরিত্রগত সমস্যা আছে ,দুটি ঘরে দুইজনকে আলাদাভাবে রেখে, এলাকাবাসীর সাথে নিয়ে মেয়েটিকে অভিভাবকের হাতে তুলে দিতে নির্দেশ দেন। আইনের ব্যত্যয় ঘটলে থানা একটি অভিযোগ করতে বলেন।

(পিবি/এসপি/জুলাই ২৮, ২০২৩)