নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁর মান্দায় উন্মুক্ত শালদহ বিলকে বদ্ধজলাশয় উল্লেখ করে ইজারা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের বিরুদ্ধে। এতে বিলের আশপাশের আট গ্রামের অন্তত দুই হাজার মৎস্যজীবী পরিবারের জীবন জীবিকা হুমকির মুখে পড়েছে। বিল থেকে পানি উত্তোলন করতে না পারায় ফসল চাষ নিয়ে চরম বেকাদায় পড়েছেন এলাকার কৃষকরা। 

এ অবস্থায় বিলটির ইজারা বাতিলের দাবি জানিয়ে আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে স্থানীয় মৎস্যজীবীরা। প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, মৎস্যজীবী বাবুল চন্দ্র হাওলাদার, রফিকুল ইসলাম, দেবেন্দ্রনাথ হাওলাদার, দিলিপ কুমার হাওলাদার ও হারান চন্দ্র হাওলাদার। অবিলম্বে উন্মুক্ত বিলটির ইজারা বাতিলের দাবি জানানো হয়েছে।

পলাশবাড়ি মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি বাবুল চন্দ্র হাওলাদার অভিযোগ করে বলেন, ‘শালদহ নয় দাগ জলাশয়’ বিলটি উন্মুক্ত জলাশয়। এর আয়তন ৭১ দশমিক ২৭ একর। বিলটিকে বদ্ধজলাশয় উল্লেখ করে গোপনে ইজারা দেয়ার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। পরবর্তীতে জেলা জলমহাল ইজারা কমিটি থেকে ১২ লাখ ৫৬ হাজার টাকায় বিলটি ইজারা নেয় পাকুড়িয়া-বিলউথরাইল মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি।

মৎস্যজীবী দেবেন্দ্রনাথ হাওলাদার বলেন, ইজারা নেওয়ার পর ইজারাদারের লোকজন মৎস্যজীবীদের বিলে নামতে দিচ্ছে না। মাছ শিকার করতে না পেরে শালদহ, পলাশবাড়ি, ভারশোঁ, রুয়াইসহ আট গ্রামের দুই হাজার জেলে পরিবারে দুর্দিন নেমে এসেছে। এ অবস্থায় চরম অর্থ সংকটে পড়ে পথে বসবেন অনেক পরিবার।

শালদহ গ্রামের কৃষক সুনীল চন্দ্র বারিক বলেন, বিলের পানি দিয়ে আশপাশের গ্রামের কৃষকরা ধান-গমসহ বিভিন্ন ফসল উৎপাদন করেন। ইজারার পর বিল থেকে পানি উত্তোলনে বাধা দিচ্ছেন ইজারাদারের লোকজন। এরই মধ্যে সেচকাজ বন্ধ হয়ে গেছে। চরম বেকাদায় পড়েছেন তাঁরা।

এ প্রসঙ্গে পাকুড়িয়া-বিলউথরাইল মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি কছিম উদ্দিন বলেন, ‘বিলটি উন্মুক্ত না বদ্ধজলাশয় বলতে পারছি না। বদ্ধজলাশয় উল্লেখ করে দরপত্র আহবান করা হলে বৈধ প্রক্রিয়ায় এটি ইজারা নেওয়া হয়েছে।’

বিলটির ইজারা প্রসঙ্গে মান্দা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জাকির মুন্সী বলেন, ২০ একরের উর্ধ্বে জলমহালগুলো ইজারা দিয়ে থাকেন জেলা জলমহাল ইজারা কমিটি। শালদহ বিলটিও জেলা জলমহাল কমিটি ইজারা দিয়েছে। এর বেশি কিছু বলতে পারছি না।

(বিএস/এসপি/আগস্ট ০২, ২০২৩)