স্বাধীন মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ, যশোর : এ বছর মধুসূদন একাডেমি পুরস্কার ২০২২ ও মধুসূদন একাডেমি সম্মাননা স্মারক পেয়েছেন ৩ জন। এর ভিতর মধুসূদন একাডেমি পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে ওপার বাংলার খ্যাতিমান কথাসাহিত্যিক সমীরণ দাসকে। এছাড়া ওপার বাংলার ২ জনকে মধুসূদন একাডেমি সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়েছে। তারা হলেন কলকাতার রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যাপক ড. কানাই সেন, কলকাতার লেখক ও প্রকাশক মারুফ হোসেন।

শুক্রবার দিনব্যাপি নানা আয়োজনে মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ১৫০তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন করে মধুসূদন একাডেমি। যশোরের কেশবপুরে কবির জন্মস্থান সাগরদাঁড়ির মধুসূদন মিউজিয়ামে এই অনুষ্ঠান পালন করা হয়।মধুসূদন একাডেমি এ উপলক্ষে মধুসূদন স্মরণ সমাবেশের আয়োজন করে। স্মরণ সমাবেশে মধুসূদন স্মারক বক্তৃতা, আলোচনা, আবৃত্তি, নিবেদিত কবিতা পাঠ, মধুগীতি পরিবেশন করাসহ মধুসূদন একাডেমি পুরস্কার-২০২২ ও মধুসূদন একাডেমি সম্মাননা প্রদান করা হয়।

মধুসূদন একাডেমির চেয়ারম্যান কবি কাসেদুজ্জামান সেলিমের সভাপতিত্বে মধুসূদন স্মরণ সমাবেশের উদ্বোধন করেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী রফিকুল ইসলাম। প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম এম আরাফাত হোসেন। মূখ্য আলোচক ছিলেন বাংলা একাডেমির পুরস্কার প্রাপ্ত গবেষক ও কথাসাহিত্যিক হোসেনউদ্দীন হোসেন। স্মারক বক্তৃতা করেন কলকাতার রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যাপক ড. কানাই সেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন কবি ও কথাসাহিত্যিক চঞ্চল শাহরিয়ার। সম্মানিত আলোচক ছিলেন কবি ও প্রাবন্ধিক শুভ্র আহমেদ এবং প্রাবন্ধিক ও গবেষক বিভূতিভূষণ মন্ডল। স্বাগত বক্তব্য দেন মধুসূদন একাডেমির পরিচালক কবি খসরু পারভেজ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন শিক্ষক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব উজ্জ্বল ব্যানার্জী।

আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে অতিথিবৃন্দ ওপার বাংলার প্রখ্যাত ৩ জনের হাতে পুরস্কার ও সম্মাননা স্মারক তুলে দেন।

(এসএমএ/এএস/আগস্ট ০৪, ২০২৩)