ঝিনাইদহ প্রতিনিধি : ঝিনাইদহে সুদে কারবারীর খপ্পরে পড়ে নিস্ব হয়ে হয়েছে এক প্রতিবন্ধী পরিবার। ঘটনাটি ঘটেছে সদর উপজেলার মহারাজপুর ইউনিউনের কেশবপুর গ্রামে।

জানা গেছে, কেশবপুর গ্রামের গরু ব্যবসায়ী মো: আবেদ আলীর ছেলে মো: আমিরুল ইসলামের নিকট থেকে একই গ্রামের আনন্দ কুমার বিশ্বাসের স্ত্রী চঞ্চলা রণী বিশ্বাস মাসিক ৭,০০০ টাকা সুদের বিনিময়ে ৪৫,০০০ টাকা নেন। ২ মাসে ১৪,০০০ টাকা সুদ পরিশোধ করতে বার্থ হলে মো: আমিরুল ইসলাম স্থানীয় চেয়ারম্যান মো: খুরশিদ আলমের জোগসাজগে ভুক্তভোগী চঞ্চলা রণীর নিকট থেকে জোর পূর্বক একটি সাদা চেকের পাতায় স্বাক্ষর করিয়ে নেন। পরবর্তিতে উক্ত চেক ডিসঅনার দেখিয়ে ভুক্তভোগী প্রতিবন্ধী পরিবারের বাড়িতে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান এবং কোর্টে ৩ লক্ষ টাকার একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন।

এ বিষয়ে সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, ওষুধ ফামের্সীর আড়ালে আমিরুল ইসলাম স্থানীয় একাধিক পরিবারের সাথে সুদের বিনিময়ে টাকা লেনদেন করেন।

আমিরুল ইসলাম স্থানীয় বাজারে কোন ড্রাগ লাইসেন্স ছাড়া বছরের পর বছর একটা ঔষধের ফার্মেসি পরিচালনা করে আসছে।

এ সকল অভিযোগের বিষয়ে আমিরুল ইসলাম অনেকটা হুমকির স্বরে বলেন আমি এগুলো করি তাতে আপনার কি? ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার আমার নিকটাত্মীয় আপনার পারলে আমার বিরুদ্ধে লিখে কিছু করেন।

এ বিষয়ে মাহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো: খুরশিদ আলমের ব্যক্তিগত মোবাইলে একাধিক বার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।

এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ সোহেল রানা জানান, বিষয়টি দুঃখজনক। দ্রুত তদন্ত করে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

(একে/এএস/আগস্ট ০৫, ২০২৩)