প্রহলাদ মন্ডল সৈকত, কুড়িগ্রাম : কুড়িগ্রামের রাজারহাটে তিস্তা নদীর বাধ রক্ষায় বুড়িরহাট স্পার বাঁধ নির্মিত হলেও বাধটিতে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড বালুর বস্তা ফেলে বাধ রক্ষা করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। এদিকে বাধটি ধ্বসে যাওয়ায় নদীর পাড়ের মানুষ নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন। যেকোন মুহূর্তে মূল বাধসহ ক্রস বাধ ভেঙ্গে কয়েটি গ্রাম প্লাবিত সহ ভাঙন আতংক বিরাজ করছে।

এলাকাবাসীরা জানান, তিস্তা নদীর পানি কমে যাওয়ার সাথে সাথে প্রবল স্রোত দেখা যায়। বুধবার (৯ আগষ্ট) ভোর বেলায় পানির প্রবল স্রোতে বুড়িরহাট স্পার বাঁধটির একাংশ ধ্বসে গিয়ে গভীর গর্তের সৃষ্টি হয়। ধীরে ধীরে পুরো স্পার বাধসহ ক্রসবাধটি বিলীন হয়ে যাওয়ার সম্ভবনা দেখা দিয়েছে। খবর পেয়ে
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কর্মকর্তাগণ ঘটনাস্থলে গিয়ে ক্রস বাঁধটি এলাকাবাসীর সহযোগিতায় বালু ভর্তি বস্তা দিয়ে রক্ষার চেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু প্রবল স্রোতে এসব বস্তা থাকবে কিনা তা নিয়েও সংশয় করছে এলাকাবাসী। প্রতি মুহূর্তে ওই এলাকার মানুষের মাঝে আতংক বিরাজ করছে।
ক্রস বাধটি ভেঙ্গে গেলে বাধের পূর্বপাশে অবস্থিত বড় দারগা খিতাবখা ৫ শতাধিক পরিবারগুলোর ভিটে মাটিসহ আবাদী জমি দ্রুত নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।

বৃহস্পাতবার (১০ আগষ্ট) ওই এলাকার বসবাসকারী মজিবর রহমান, আঃ জলিল, হোসেন আলী, ফজলু মিয়াসহ অনেকে বলেন, ক্রসবাধটি ধসে যাওয়ায় এলাকার সকলে আতংকে রয়েছে। যেকোন মুহুর্তে গ্রামে ভাঙন দেখা দিতে পারে। ওই এলাকার ইউপি সদস্য হিরা বলেন, হঠাৎ করে ভাঙন দেখা দিয়েছে। বাঁধের এক অংশ ধ্বসে যায়।

ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আঃ কুদ্দুস প্রামানিক বলেন, খবর শুনে এলাকায় গিয়েছি। বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ড সহ উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানিয়েছি।

বৃহস্পতিবার (১০ আগষ্ট) বিকালে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) এর নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, খপর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দ্রুত বালু ভর্তি বস্তা ফেলার নির্দেশ দিয়েছি। এখন ভাঙন কমে গেছে। আশা করা হচ্ছে আর ভাঙবে না।

(পিএস/এসপি/আগস্ট ১০, ২০২৩)