সমরেন্দ্র বিশ্বশর্মা, কেন্দুয়া : ভূমি উন্নয়ন কর অনলাইন রশিদ জালিয়াতি করে একাধিক দলিল সম্পাদন করার অভিযোগে কেন্দুয়া উপজেরা সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসের দলিল লিখক নাসির খন্দকার সহ ৩৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মাসকা ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মুজিবুর রহমান বাদী হয়ে বুধবার রাতে কেন্দুয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এদিকে পুলিশ নাসির খন্দকারকে গ্রেফতার করে বৃহস্পতিবার নেত্রকোনা আদালতে পাঠিয়েছে। তাঁকে জিজ্ঞাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে আদালতে। 

জানা যায় কেন্দুয়া পৌর শহরের দিগদাইর মহল্লার বাসিন্দা উপজেলা সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসের লাইসেন্সধারী দলিল লিখক নাসির খন্দকার দীর্ঘদিন ধরে জালিয়াতি চক্রের সহায়তায় ভূমি উন্নয়ন কর অনলাইন রশিদ হুবুহু তৈরি করে একাধিক দলিল সম্পাদন করে আসছিলেন। এ অভিযোগের তদন্তে মাঠে নামেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: রাজিব হোসেন।

তদন্তকালে তিনি উপজেলা সাব-রেজিষ্ট্রারের সহায়তায় জালিয়াতির সত্যতা প্রমাণ পান। এ ঘটনায় মাসকা ইউনিয় ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মো: মুজিবুর রহমান বাদী হয়ে দলিল লিখক নাসির খন্দকার তার কম্পিউটার সহযোগি আনিস সহ ২৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত নাম আরও ৮ জনের বিরুদ্ধে কেন্দুয়া থানায় মামলা দায়ের করেন। কেন্দুয়া থানার ওসি তদন্ত মো: আশরাফুল ইসলাম জানান রশিদ জালিয়াতির ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে। উপজেলা সাব-রেজিষ্টার শামস জামান রাফি জানান সহকারী কমিশনার ভূমির প্রতিবেদন পাওয়ার পর নাসির খন্দকারের লাইসেন্সের বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(এসবি/এসপি/আগস্ট ১০, ২০২৩)

ভূমি উন্নয়ন কর অনলাইন রশিদ জালিয়াতি করে একাধিক দলিল সম্পাদন করার অভিযোগে কেন্দুয়া উপজেরা সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসের দলিল লিখক নাসির খন্দকার সহ ৩৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মাসকা ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মুজিবুর রহমান বাদী হয়ে বুধবার রাতে কেন্দুয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এদিকে পুলিশ নাসির খন্দকারকে গ্রেফতার করে বৃহস্পতিবার নেত্রকোনা আদালতে পাঠিয়েছে। তাঁকে জিজ্ঞাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে আদালতে।