নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁর ধামইরহাটে মুক্তিযোদ্ধার বিধবা স্ত্রী নাসরিনা পারভীনের জমি হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। 

ধামইরহাট থানা এবং ৪ নম্বর উমার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের নিকট নাসরিনা পারভীনের লিখিত পত্র ও জবাব সূত্রে জানা যায়, তার পিতার ওয়ারিশ সূত্রে এবং মায়ের দেয়া হেবা দলিল মূলে বিহারিনগর, ধানতারা, আমাইতারা সহ কয়েকটি মৌজায় ২০ বিঘা জমি ভোগ দখল এবং জমি খারিজ করে হালনাগাদ খাজনাদি পরিশোধ করে এবং ভোগদখল করে আসছেন নাসরিনা পারভীন। নাসরিনা পারভীনের ভাই আজিজুর রহমান চৌধুরী জীবিত থাকাকালে নিয়মিত জমি দেখ-ভাল করতেন এবং ফসলের টাকা পরিশোধ করতেন। কিন্তু বর্তমানে নাসরিনা পারভীন ছেলের সঙ্গে প্রবাসে থাকায় ভাইয়ের মৃত্যুর পর ভ্রাতুষ্পুত্র আশিকুর রহমান সৌরভ চৌধুরী জমির ফসলের ধান কিংবা টাকা না দিয়ে জমি জবর দখলের চেষ্টা করে। জবর দখলের হাত থেকে রক্ষা পেতে ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতে বিচার প্রার্থী হন নাসরিনা পারভীন। নাসরিনা পারভীন বর্তমানে জমির তত্তাবধানকারি হিসেবে তার ভাতিজা হারুন চৌধুরী ও সেলিম চৌধুরীকে দায়িত্ব দেন।

হারুন চৌধুরী জানান, গ্রাম আদালতে ২২২৩/এপ্রিল/২০০৬ মোকদ্দমার ৪ নং উমার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওবায়দুল হক সরকার নাসরিনা পারভীনের দলিল ও অন্যান্য কাগজপত্র দেখে গত ১৮/৫/২৩ তারিখে নাসরিনা পারভীনের পক্ষে রায় দেন এবং জমিতে সাইনবোর্ড লাগাতে বলেন।

অপরদিকে প্রতিপক্ষ নাসরিনা পারভীনের ভাতিজা আশিকুর রহমান সৌরভ চৌধুরীর নিকট মুঠোফোনে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার দলিল আছে, সাক্ষাতে বর্ননা দেয়া যাবে। আমার পিতার মৃত্যুর পর আমি সকল কাগজ সংগ্রহ করতে না পারায় গ্রাম আদালতের নিকট সময়ের প্রার্থনা করি। গ্রাম আদালতের দেয়া অল্প সময়ে দলিলাদি সংগ্রহ ও উপস্থাপন সম্ভব হয়নি।’

ধামইরহাট মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আব্দুর রউফ তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জমি সুযোগ বুঝে কেউ জবর দখল করবে এই অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেয়া হোক।’

ধামইরহাট থানার ওসি (তদন্ত) আঃ গনি জানান, দুই পক্ষ কেউ কাউকে মানেনা, তাই আইন শৃংখলার অবনতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকায় জমির মালিকানা সমাধানের জন্য পক্ষদ্বয়কে বিজ্ঞ আদালতের স্বরনাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।’

(বিএস/এসপি/আগস্ট ১২, ২০২৩)