সালথা প্রতিনিধি : সড়কের যে দিকে চোখ যায় ভাঙাচোড়া, কাঁদা-পানি। অনেক জায়গায় বিছানো ইট সরে মাটি বের হয়ে গেছে। হেঁটেই পার হওয়া কঠিন এই সড়কটিতে। বৃষ্টি হলে কাদা পানিতে একাকার হয়ে যায় সড়কটি। তখন হেঁটেও পার হওয়া যায় না।

ফরিদপুরের সালথা উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের সালথা-সোনাপুর সড়কের দক্ষিণ ফুকরা ঈদগাঁ ময়দান থেকে শুরু করে রাঙ্গারদিয়া গ্রাম হয়ে এ সড়কটি চলে গেছে স্লুইচগেটে পর্যন্ত। সড়কটির দৈর্ঘ্য আনুমানিক তিন কিলোমিটার এবং প্রস্থ ১২ ফুট।

অন্যদিকে একই ইউনিয়নের বড়বাংরাইল গ্রামে গোরস্থান ও মাদ্রাসার রাস্তাটি কাঁদা-পানিতে চলাচলে অনুপযোগি হয়ে পড়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীদের পড়তে হয় চরম বিপাকে।

সরেজমিনে গিয়ে রাস্তা দুটির বেহাল অবস্থা দেখা যায়। অথচ এলাকাবাসীর কাছে গুরুত্বপূর্ণ এ রাস্তা দুটি কয়েক গ্রামের অন্তত তিন হাজার পরিবারের যাতায়াতের জন্য এটিই একমাত্র সড়ক। এ সড়ক পেরিয়ে সালথা, উপজেলা সদর, জেলা সদর ফরিদপুরে যেতে হয়। এ সড়ক দিয়ে হাঁট বাজার করে বাড়ি ফিরতে হয়।

কয়েকজন এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, বড়বাংরাইল গ্রামের রাস্তাটি অনেক আগে করা হয়। আজও পর্যন্ত পাকা করার কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি কেউ। এছাড়া ২০০৫ সালে মাটি ফেলে গুরুত্বপূর্ণ রাঙ্গারদিয়ার
সড়কটি নির্মাণ করা হয়। ২০১১ সালে এ সড়কে ইট বিছানো হয়। এর পর আর কোন সংস্কার কাজ হয়নি।

ওই এলাকার বাসিন্দারা জানায়, ইট বিছানোর দেড় মাসের মধ্যে রাঙারদিয়া গ্রামে মোল্লা বাড়ি মসজিদ নির্মাণের জন্য এ সড়ক দিয়ে ট্রাকে ইট ভর্তি করে আনা হয়। ইট বোঝাই ট্রাক চলাচল করায় ইট বিছানোর দেড় মাসের মধ্যেই সড়কটি চলাচলের অনুপোযুক্ত হয়ে পড়ে। এরপর গত ১২ বছরে সড়কটির অবস্থা দিনে দিনে খারাপ হয়েছে।

সোনাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যান মো. খায়রুজ্জামান বাবু বলেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধিনে রাঙ্গারদিয়ার সড়কটি আমার ইউনিয়নের সবচেয়ে বড় সড়ক। খুবই বাজে অবস্থা ওই সড়কটির। পাশাপাশি এলাকাটি ঘন বসতিপূর্ণ। বর্তমানে উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ বন্ধ রয়েছে। তবে তাড়াতাড়ি কাজ শুরু হবে। কাজ শুরু হলে ওই সড়কটির মেরামতসহ আনুষঙ্গিক কাজ শুরু হবে। সেই সাথে বড়বাংরাইল গ্রামের রাস্তাটি এইচবিবি করা হবে।

সালথার স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের প্রকৌশলী আবু জাফর মিয়া গণমাধ্যমকে বলেন, সম্প্রতি রাজবাড়ী-ফরিদপুর গুরুত্বপূর্ণ আবকাঠামো নির্মাণের জন্য একটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এ প্রকল্পে রাঙ্গারদিয়ার সড়কটি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ওই সড়কটি কার্পেটিং করা হবে। মাঝে যে ক্যালবাট রয়েছে সেটি ঠিক করা হবে এবং প্রয়োজন হলে সড়কটি উঁচুও করা হবে।

উপজেলা প্রকৌশলী আবু জাফর মিয়া আরও বলেন, এ প্রকল্পটি বর্তমানে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

(এএন/এসপি/আগস্ট ২৬, ২০২৩)