অমর ডি কস্তা, নাটোর : নাটোর-৪ (বড়াইগ্রাম-গুরুদাসপুর) আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুসের নামাজের জানাযা আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় বড়াইগ্রাম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

জানাযার পূর্বে তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। জেলা প্রশাসক আবু নাছের ভূঁঞা, পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মারিয়াম খাতুন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

জানাযায় দলীয় নেতা-কর্মি ছাড়াও সর্বস্তরের হাজার হাজার মানুষ অংশ নেয়। জানাযা শেষে উত্তর বঙ্গের বর্ষীয়ান রাজনৈতিক নেতা, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ট সহচর আব্দুল কুদ্দুসের রাজনৈতিক জীবন ও তার সফল জনপ্রতিনিধিত্বের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হয়। এতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ও পাবনা-১ আসনের সংসদ সদস্য শামসুল হক টুকু, বাংলাদেশ আ’লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য ও রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, কেন্দ্রীয় আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল ও শহিদুল ইসলাম বকুল, জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজান সহ দলীয় নেতৃবৃন্দ। পরবর্তী জানাযা অনুষ্ঠিত হয় গুরুদাসপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে। এরপর বাদ যোহর গুরুদাসপুরের বিলশা ঈদগাহ মাঠে শেষ জানাযা শেষে বিলসা কবরাস্থানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয় এই বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদকে।

শনিবার সন্ধ্যায় হঠাৎ শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে তাকে দ্রুত ঢাকার ইউনাইটেড হসপিটালে ভর্তি করা হয়। সেখানে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় বুধবার সকাল ৭টা ২২ মিনিটে তার মৃত্যু হয়।
অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস মোট ৫ বার (১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০৮, ২০১৩ ও ২০১৮ সালে) জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নাটোর-৪ (বড়াইগ্রাম-গুরুদাসপুর) আসনে সংসদ সদস্য হিসেবে বিজয়ী হন। তিনি শেখ হাসিনার প্রথম মন্ত্রীসভার মৎস্য ও পশু সম্পদ প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৭৭ বছর। তিনি তার পরিবারে স্ত্রী ও দুই ছেলে-মেয়ে রেখে গেছেন।

(এডিকে/এসপি/আগস্ট ৩১, ২০২৩)