স্টাফ রিপোর্টার : শাটল ট্রেনে শিক্ষার্থী আহতের ঘটনার জেরে হামলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) উপাচার্যের বাসভবন। তিনতলা এ ভবনের কোনো কিছুই অক্ষত নেই। 

শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) সরেজমিনে দেখা যায়, উপাচার্যের বাসভবনে প্রবেশপথের গেট ভাঙা অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ভবনের সামনের ফুলের টবের ভাঙা অংশ এদিক-ওদিক ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে। ভবনের ভেতরের সব আয়না, আলমারি ভাঙা। অক্ষত নেই উপাচার্যের পদক, দেওয়ালে রাখা ছবি। জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে উপাচার্য ভবনের সব কাঠের ফার্নিচার। ভেঙে ফেলা হয়েছে ফ্রিজ, টিভিসহ সব দামি আসবাবপত্র।

হামলার সময় উপাচার্যের বাসভবনে লুটপাটও চালানো হয়। নিয়ে যাওয়া হয় গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র, হার্ডডিস্ক। এমনকি উপাচার্যের ফ্রিজে রাখা মাছ-মাংসও নিয়ে যান শিক্ষার্থীরা। তবে সবমিলিয়ে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানোর জন্য বিকেল সাড়ে ৪টায় সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাতে শাটল ট্রেনের ছাদে চড়ে ক্যাম্পাসে ফেরার সময় গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে অন্তত ১৫ শিক্ষার্থী আহত হন। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। আহতদের মধ্যে আটজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।

এ ঘটনায় ফুঁসে ওঠেন চবির সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ক্যাম্পাসের মূল ফটক আটকে বিক্ষোভ করেন তারা। একপর্যায়ে হঠাৎ করেই একজন শিক্ষার্থী মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে পড়ে। এতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা উত্তেজিত হয়ে পড়েন। তারা প্রথমে জিরো পয়েন্টে থাকা পুলিশ বক্সে হামলা চালান। এসময় পুলিশ বক্স পুরোটা ভেঙে ফেলা হয়। ভেতরে থাকা চেয়ার-টেবিল জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। এরপর উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বাসভবনে হামলা চালান।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর ড. নূরুল আজিম সিকদার বলেন, উপাচার্যের বাসভবনে মারাত্মকভাবে হামলা চালানো হয়েছে। হামলাকারীরা খুব পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়েছে। উপাচার্যের বাসভবনের কিছুই অক্ষত নেই।

তিনি বলেন, এগুলো সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাজ হতে পারে না। এখানে নিশ্চয়ই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরোধী চক্র জামায়াত-শিবির ও বিএনপির প্ররোচনা ছিল। তাদের এজেন্টরা এ আন্দোলনের মধ্যে প্রবেশ করে বিশ্ববিদ্যালয় অস্থিতিশীল করতে চেয়েছিলেন। এদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(ওএস/এসপি/সেপ্টেম্বর ০৮, ২০২৩)