আবু নাসের হুসাইন, সালথা : গ্রামে কোলঘেষে একটু উঁচু জমিতে দাড়িয়ে আছে সারি সারি লাল ও কালা রঙের আখ। ঘোড়া থেকে আগার নিচ পর্যন্ত চকচকে দেখা যায়। দেখতে যেমন সুন্দর, খেতেও তেমন সুস্বাধু ও রসালো। মূখে নিয়ে চিবানি দিলেই রসে ভরে যায় গাল। বিক্রির জন্য প্রায়ই হাট-বাজারে উঠানো হয় এই আখ।

ফরিদপুরের সালথা উপজেলা পাট ও পেঁয়াজের জন্য বিখ্যাত। এখানে বছরে তিনটি ফসল উৎপাদণ হয়। পাট, পেঁয়াজ ও ধান। এই ফসলের পাশাপাশি এবছর ১০ হেক্টর জমিতে আখচাষ হয়েছে। আখচাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন চাষীরা।

উপজেলা কৃষি অফিস জানিয়েছেন, উপজেলার সোনাপুর, ফুকরা, যদুনন্দী এলাকার কিছু চাষী আখচাষ করেছেন। শকুনকানী, গেন্ডারি ও ঈশ্বরদী ১৬ জাতের আখ চাষ হয়েছে। এই আখচাষে বিষাপ্রতি ব্যায় হয়েছে প্রায় একলক্ষ টাকা। এক বিঘা জমির আখ বাজারে বিক্রি হচ্ছে প্রায় দুইলাখ টাকা। সবমিলিয়ে চাষিরা লাভবান হচ্ছে।

ফুকরা গ্রামের আখচাষি রশিদুল শেখ বলেন, অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি আমি এবছর ১৮ কাঠা জমিতে আখ চাষ করেছি। আখ চাষ করতে আমার ৮০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এপর্যন্ত ১ লাখ ৪০ হাজার টাকার মতো বিক্রি করেছি। আরো কিছু জমির আখ বিক্রি করার বাকি আছে। সবমিলিয়ে দুই লাখ টাকা বিক্রি হবে। পরিশ্রম বেশি হলেও অন্যান্য ফসলের চেয়ে আখ চাষে লাভ বেশি। আগামীতে আখচাষ আরো বেশি করবো বলে চিন্তা করেছি।

উপজেলা কৃষি অফিসার সুদর্শন শিকদার বলেন, উপজেলায় মোট ১০ হেক্টর জমিতে আখচাষ হয়েছে। এবার আখ খুব ভালো হয়েছে। চাষীরা দামও খুব ভালো পাচ্ছে। আখ চাষের শুরু থেকে চাষিদের বিভিন্ন ধরণের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিলো।

(এএন/এএস/সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৩)