লাইফস্টাইল ডেস্ক : ভালোবাসা বলে কয়ে আসে না ঠিকই, তবে সত্যিকারের ভালোবাসা খুঁজে পেতে কিন্তু বছরের পর বছরও সময় লাগতে পারে। অনেকের মতে, স্কুল-কলেজের বেশিরভাগ প্রেমই টেকে না। আবার মনের মতো সঙ্গীর তালাশ করতে গিয়ে অনেকের প্রেমও বারবার ভেঙে যায়।

ভালোবাসা আসলে একটি সংখ্যার খেলা। গণিতবিদরা এ বিষয়ে সঠিক বয়স বের করেছেন, যখন সত্যিকারের ভালোবাসার খোঁজ মেলে। গণিতবিদ ডা. হান্না ফ্রাই একটি গবেষণা পরিচালনা করেছেন এ বিষয়ে।

এই গবেষণায় তিনি গণিত-ভিত্তিক নিদর্শন, পরিসংখ্যান ও অ্যালগরিদমের উপর নির্ভর করেছেন। যাকে তিনি ‘অপ্টিমাল স্টপিং থিওরি’ বলে অভিহিত করেছেন।

এই গণিতবিদের গবেষণায় উঠে এসেছে, জীবনের রোমান্টিকতার প্রথম ৩৭ শতাংশ সময়ে যাদের সঙ্গে আমরা সম্পর্কে জড়ায় তাদের মধ্যে সত্যিকারের ভালবাসা খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনা খুব কম।

ধরা যাক, আপনি ৪০ বছর বয়সের আগে বিয়ে করতে চান ও ১৫ বছর বয়স থেকেই ডেটিং শুরু করেছিলেন। এর অর্থ হলো, ১৫-২৭ বছর বয়স পর্যন্ত আপনি যাদের সঙ্গে ডেট করেছেন তাদের মধ্যে সত্যিকারের ভালোবাসার মানুষ খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।

তবে ২৭-৩৫ বছরের মধ্যেই কিন্তু আপনি খুঁজে পাবেন সত্যিকারের ভালোবাসার মানুষ। এমনটিই বলছে ডা. হান্নার গবেষণা। এক্ষেত্রে কিন্তু অতীতের সম্পর্কগুলো আপনাকে আরও অভিজ্ঞ করে তোলে।

ফলে বুঝতে পারবেন আপনার আসলে কেমন জীবনসঙ্গী প্রয়োজন। অতীতের সম্পর্কগুলোর অভিজ্ঞতার আলোকেই সবচেয়ে উপযুক্ত জীবনসঙ্গী বেছে নিতে পারবেন আপনি।

৩০ বছরে পদার্পণ করার সঙ্গে সঙ্গেই মানুষ আরও পরিপক্ক ও অভিজ্ঞ হন। ফলে এ সময়ের দিকেই সঠিক জীবনসঙ্গী ও সত্যিকারের ভালোবাসার মানুষের খোঁজ মেলে।

ডা. হান্না ফ্রাইয়ের মতে, ‘অনেকেই বিষয়টির সঙ্গে হয়তো একমত হবেন না। যদিও ভালোবাসা সংখ্যা বোঝে না। তবে গণিত মিথ্যা বলে না, আবার হৃদয়ও বোঝে না।’

সুতরাং আপনি যদি এমন কাউকে খুঁজে পান যার সঙ্গে ২৭ বছর বয়সের আগ থেকেই বাকি জীবন কাটানোর চিন্তা করেন, তার মানে এই নয় যে সে আপনার সত্যিকারের ভালবাসা নয়।

সূত্র: ব্রাইট সাইড/ডেইলি মেইল

(ওএস/এসপি/সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৩)