ষ্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর : যুক্তরাজ্যের এবারডিন বিশ্ববিদ্যালয় এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরকৃবি) এর যৌথ উদ্যোগে ‘এক্সপ্লোরিং দ্যা জেনেটিক ডাইভারসিটি অফ আউশ রাইস ফ্রম নর্থ ইস্টার্ণ ইন্ডিয়া অ্যান্ড বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনার বুধবার  বশেমুরকৃবি’র পুরাতন অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে বশেমুরকৃবি’র কৌলিতত্ত্ব ও উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের প্রফেসর ড. এ. কে. এম. আমিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এবারডিন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. এডাম প্রাইস এবং ড. গেরেথ নরটন।

প্রফেসর এডাম প্রাইস তার উপস্থাপনায় বলেন, বাংলাদেশ থেকে সংগৃহীত আউশ ধানের স্থানীয় জাতসমূহ ধানগাছের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য নিয়ন্ত্রনের দুর্লভ জীন ধারণ করে। এসব দুর্লভ জীনসমূহ ব্যবহার করে ভবিষ্যৎ কৃষির চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় খরা সহনশীল ধানের জাত উদ্ভাবন সম্ভব। এছাড়াও রোগ ও পোকামাকড় প্রতিরোধী জাত উদ্ভাবনেও এসকল জীন ব্যবহার করা যাবে।

ড. গেরেথ নরটন তার উপস্থাপনায় ধান গাছে জিঙ্ক, আর্সেনিক ও ক্যাডমিয়াম এর উপস্থিতি, বিন্যাস এবং খাদ্য ও পুষ্টির নিরাপত্তায় এদের প্রভাব বিষয়ে আলোচনা করেন। এছাড়াও গাছে এসকল উপাদানের উপস্থিতি নিয়ন্ত্রণকারী জীনসমূহ সনাক্তকরণ এবং ধানের নতুন জাত উদ্ভাবনে এসকল জীনের ব্যবহার পদ্ধতি নিয়ে তার গবেষণা উপস্থাপন করেন।

প্রফেসরদ্বয় বশেমুরকৃবি’র সাথে এ সংক্রান্ত যৌথ গবেষণা পরিচালনার আগ্রহ প্রকাশ করেন। সেমিনারে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদীয় ডীন, পরিচালক, বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক, এমএস ও পিএইচডি শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

(এস/এসপি/সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৩)