‘বাংলাদেশের পোশাকখাত ডিজিটাইজেশন জরুরি’

স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশের পোশাকখাতকে ডিজিটালাইজেশনের আওতায় নিয়ে আসা খুবই জরুরি বলে মনে করেন ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি।
তিনি বলেন, কর্মীদের মানসিক ও শারীরিক সুস্থতায় গুরুত্বারোপ করতে হবে। পাশাপাশি উপযুক্ত ডাটাবেজ প্রস্তুত করে তৈরি পোশাকখাতকে ডিজিটালাইজেশনের আওতায় নিয়ে আসা খুব জরুরি। এটা শিল্প-কারখানার পরিবেশ উন্নত ও কর্মীদের উপযুক্ত সহায়তার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে কর্মশক্তির স্বাস্থ্য ও সুস্থতা বৃদ্ধিকরণ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
ইন্টিগ্রাল গ্লোবাল, বিজিএমইএ ও জেসিএম ফাউন্ডেশনের সহায়তায় আয়াত এডুকেশন এ গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে।
তৈরি পোশাকখাতের কর্মশক্তির স্বাস্থ্য ও সুস্থতার জন্য গৃহীত পদক্ষেপগুলোকে টেকসই করতে বিভিন্ন সংস্থার পারস্পরিক সহযোগিতা খুবই জরুরি বলে মনে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) বাংলাদেশের পরিচালক তুমো পুতিয়েনাইন।
তিনি বলেন, পোশাকখাতের জনবলের জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপগুলোকে আরও গণতান্ত্রিক করতে হবে। স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে যেসব বাধা আছে তা কমাতে হবে।
বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, কর্মীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা আমাদের কাছে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এ ক্ষেত্রে তৈরি পোশাকখাতের শিল্প কলকারখানায় গত এক দশকে আমরা বড় পরিবর্তন এনেছি। বিশ্বের অন্যতম গ্রিন ফ্যাক্টরির পাশাপাশি শতাধিক উন্নতমানের কারখানাও আমাদের দেশে এখন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
ইন্টিগ্রাল গ্লোবালের প্রতিষ্ঠাতা নাবিল আহমেদ অনুষ্ঠানের মূল প্রবন্ধে আয়াত এডুকেশন ও আইজির বিস্তারিত কার্যক্রম তুলে ধরেন। তিনি বলেন, তিনটি টেক্সটাইল ও ছয়টি তৈরি পোশাক কারখানার প্রায় ৩০ হাজার কর্মীকে নিয়ে এ দুই প্রতিষ্ঠানের যৌথভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। স্বাস্থ্যশিক্ষা ও সচেতনতা তৈরির কারণে কারখানার কর্মীদের মধ্যে মাস্ক পরার প্রবণতা ৫১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং যথাযথভারে হাত ধোয়ার প্রবণতাও উল্লেখযোগ্যহারে বেড়েছে।
বৈঠকে আয়াত এডুকেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) নুসরাত আমান বলেন, পোশাকখাতের কর্মীদের প্রতিনিয়ত স্বাস্থ্য পরীক্ষা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শুধু বাইরের আর্থিক সহায়তার ওপর নির্ভর করে থাকলে হবে না। পারস্পরিক সহযোগিতায় কর্মীদের সুস্থতা নিশ্চিত করতে হবে।
জেসিএম (জন সি মার্টিন) ফাউন্ডেশনের সভাপতি ও কর্মসূচি পরিচালক ড. লিলিয়ান লু বলেন, পোশাক কারখানায় পরিবর্তন, উৎপাদনশীলতা বাড়াতে কমিউনিটি ও স্টেক হোল্ডার ইচ্ছাশক্তি এবং কর্মীদের সহায়তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
বিজ্ঞাপন
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন কেয়ার বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর রামেশ সিং, আইএলওর প্রধান কারিগরি উপদেষ্টা সৈয়দ সাদ হোসেন জিলানী, আমান গ্রুপ অব কোম্পানিজের ভাইস চেয়ারম্যান তাহসিন আমান, বিজিএমইএর পরিচালক আসিফ ইব্রাহিম প্রমুখ।
গোলটেবিল বৈঠক সঞ্চালনা করেন আয়াত এডুকেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) নুসরাত আমান ও ইন্টেগ্রাল গ্লোবালের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক নাবিল আহমেদ।
(ওএস/এএস/সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৩)