আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইউক্রেনের মতো সামরিক শক্তি বাড়াতে উদ্যোগী হয়েছে প্রতিবেশী পোল্যান্ড। সাবেক সোভিয়েত আমলের অস্ত্রশস্ত্র বাদ দিয়ে আধুনিক অস্ত্রে সামরিক বাহিনীকে সাজাতে চায় পোলিশরা। তার জন্য দেশটিকে ২০০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, পোল্যান্ড আমাদের খুবই গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। পোল্যান্ডের নিরাপত্তা ন্যাটোর পূর্বপ্রান্তের সামগ্রিক নিরাপত্তার জন্য জরুরি।

পোল্যান্ডের সঙ্গে দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে বেলারুশের। বেলারুশ আবার রাশিয়ার বন্ধু দেশ। তাদের নিয়ে ন্যাটো এবং ইইউ খুবই চিন্তিত।

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিবৃতিতে জানিয়েছে, প্রতিবেশী ইউক্রেনকে সাহায্য করার ক্ষেত্রে পোল্যান্ড কেন্দ্রীয় ভূমিকা নিয়েছে। তাদের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সাহায্য ইউক্রেনে পৌঁছাচ্ছে। তারা প্রতিরক্ষা খরচও বাড়িয়েছে।

রাশিয়ার আক্রমণ শুরুর ইউক্রেনকে যুদ্ধবিমান দিয়েছে পোল্যান্ড। পাঠিয়েছে কামান এবং গোলাবারুদও। এবার তারা নিজেদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করতে চাইছে।

ইউক্রেনকে সাবেক সোভিয়েত আমলের অস্ত্রই দিয়েছিল পোল্যান্ড। এখন তারা যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া থেকে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সমরাস্ত্র কিনতে আগ্রহী।

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পোল্যান্ড যেন যুক্তরাষ্ট্র থেকে অস্ত্র কিনতে পারে, সেজন্য বাইডেন প্রশাসন তাদের ঋণ দিচ্ছে।

পোল্যান্ড এ বছর তাদের জিডিপির চার শতাংশ অস্ত্র কেনার জন্য খরচ করার পরিকল্পনা নিয়েছে।

ইউক্রেনকে আর সাহায্য নয়

শস্যচুক্তি নিয়ে পোল্যান্ড ও ইউক্রেনের মধ্যে বড় ধরনের বিবাদ চলছে। পোল্যান্ড জানিয়েছে, স্থানীয় কৃষকদের স্বার্থে তারা ইউক্রেনের ফসল পোল্যান্ডের বাজারে বিক্রি করতে দেবে না।

এ নিয়ে ইউক্রেন বিরূপ মন্তব্য করায় পোল্যান্ড জানিয়ে দিয়েছে, তারা আর ইউক্রেনকে অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করবে না।

বিশেষজ্ঞদের মতে, পোল্যান্ডের ক্ষমতাসীন ডানপন্থি দল ভোটের আগে এই মনোভাব নিয়েছে। পোল্যান্ডের পক্ষ থেকে যা যা দেওয়ার ছিল, তা পুরোটাই দিয়ে দিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র অবশ্য এই ঘটনাকে খুব বেশি গুরুত্ব দিতে চায় না। তারা বোঝাতে চায়, রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইউক্রেন জয় পেলে পোল্যান্ডেরই সুবিধা।

সূত্র: ডয়েচে ভেলে

(ওএস/এসপি/সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৩)