রিপন মারমা, রাঙ্গামাটি : রাঙামাটি কাপ্তাই উপজেলা ৫ নং ওয়াগ্গা ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড শীলছড়ি প্রধান সড়ক  পাশে স্টারলিং প্লাইউড ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড এর জায়গা সুদীর্ঘ ৫০ বছরে অধিক বসবাসরত ভুমিহীন পাহাড়ি -বাঙালি ১শ১৪ পরিবারের দখলীয় আবাসস্থল অধিগ্রহণের নামে ভুয়া জালিয়াতি মালিকানা মাধ্যমে জনৈক হাসান মাহামুদ রাষ্ট্রের কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ ও ভুমিহীনদের উচ্ছেদ অপচেষ্টা বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছেন ভুক্তভোগীরা। সোমবার (১৬ আগস্ট) সাড়ে ৩ টা দিকে উপজেলার কাপ্তাই শীলছড়ি প্রধান সড়কে  এ মানববন্ধন করা হয়।

মানববন্ধনের স্থানীয় ভুক্তভোগী শীলছড়ি ৯ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য সারোয়ার হোসেন বলেন, জনৈক হাসান মাহামুদ রাষ্ট্রের কোটি কোটি টাকা সম্পদ আত্মসাৎ পায়তারা করছে। এখানে ২৩ একর ১৭ শতক জায়গা মধ্যে ৯ একর ২৪ শতক স্বাধীনতার যুদ্ধে আগে এবং পরে ১শ১৪ পরিবার বংশ পরাম্পরায় করে আসছে। এখানে পাহাড়ি -বাঙালি সম্প্রীতি করে বসবাস করছি। সম্প্রতি,আমরা জানতে পারলাম আমাদের এখানে সরকার বিভিন্নসংস্থা জন্য এই ভুমি গুলো অধিগ্রহণ করা হচ্ছে। রাস্ট্রের উন্নয়ন হোক সেটা আমরা সকলে চাই আমরা অধিগ্রহণ বিরুদ্ধে নয় যে জায়গায় গুলো অধিগ্রহণ করা হচ্ছে আসলে সে প্রকৃত মালিক কিনা সেগুলো যাচাই-বাছাই করার দরকার। স্টারলিং প্লাইউড ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড জায়গায় গুলো মুলত পাকিস্তানিদের।বর্তমান যে মালিক সেজে অধিগ্রহণ হিসেবে টাকা গ্রহণ করছে সেই প্রকৃত মালিক কিনা সকলে জানার দরকার।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধি মাকসুদুর রহমান বাবুল তিনি বলেন, দীর্ঘ ৫০ বছরে অধিক ধরে পুর্বপুরুষের পর্যন্ত এখানে ছিল। যে জায়গায়কে রুপসি কাপ্তাই সৃষ্টি করেছেন তাদের উক্ত সন্তানরা এখানে অবস্থান করছেন। যে স্টারলিং প্লাইউড ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড কারখানা মুলত তাদেরকে দিয়েছে এলাকায় মানুষ যেন কর্মসংস্থা হয়। স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য মোঃমাহবুব আলম বলেন, আমরা এখানে তৃতীয় প্রজন্মকারি জায়গাতে অবস্থান করছি। এই জায়গাতে রয়েছে স্টারলিং প্লাইউড ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড ২৩ একর ১৭শতক বন্দোবস্তি রয়েছে বলে আমরা জানতে পারি। আমরা জানি স্টারলিং প্লাইউড ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড একটি পাকিস্তানি কারখানা ছিল।যেটা ১৯৭১ সালে তারা এখানে রেখে চলে যায় তার আট থেকে আমরা এখানে শান্তিপূর্ণ ভাবে বসবাস করে আসছি। আমরা এই পর্যন্ত কখনো বাঁধা সম্মুখে হয়নি বিনাবাঁধা আমরা এখানে বসবাস করে আসছি। সম্প্রতি জনৈক হাসান মাহামুদ জায়গা মালিক সেজে রাস্ট্রে বিভিন্ন সংস্থা কাজ থেকে জায়গায় অধিগ্রহণ করে বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে।

স্থানীয় ভুক্তভোগী আথুই মারমা তিনি বলেন, জনপ্রতিনিধিরা ১শ১৪ পরিবারকে আশ্বাস দিয়েছে এই জায়গা থেকে উচ্ছেদ করতে পারবেনা। আর যদি উচ্ছেদ করে আমাদেরকে পূর্ণবাসস্থান করে দিতে হবে। ভুক্তভোগী মোঃ ইব্রাহিম মিয়া বলেন, ৮ আনসার ব্যাটেলিয়ানকে যে জায়গায় জৈনক হাসান মাহমুদ কি মুলে দিয়েছে এবং ৮ আনসার ব্যাটেলিয়ান কি মুলে নিয়েছে খুবও দুঃখ জনক ব্যাপার।

মানববন্ধনের শ'শ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সুশীল সমাজসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

(আরএম/এএস/অক্টোবর ১৭, ২০২৩)