স্বাধীন মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ, যশোর : যশোর শহরের কোতয়ালী থানা এলাকার মুজিব সড়কে সংঘবদ্ধ কিশোর গ্যাং প্রকাশ্যে কুপিয়ে রিপন হোসেন নামের একজন যুবককে হত্যা করে। এ ঘটনায় রিপন হোসেনের মা খড়কি (বামনপাড়া) এলাকার রুপবান(৫৩) বাদি হয়ে কোতোয়ালী থানায় এজহার দায়ের করে। এজাহারের ভিত্তিতে কোতয়ালী মডেল থানার মামলা নং-৬৯, ধারা-৩২৬/৩০৭/৩০২/৩৪ পেনাল কোড রুজু হয়।

প্রকাশ্যে সিসি ক্যামেরার সামনে কুপিয়ে হত্যা করার ঘটনাটি চাঞ্চল্যকর হওয়ায় জেলা পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার বিপিএম (বার), পিপিএম এর নির্দেশে জেলা গোয়েন্দা শাখার(ডিবি) ওসি রুপন কুমার সরকার পিপিএম (বার) এর তত্ত্বাবধানে ডিবি'র এলআইসি টিম তদন্তে মাঠে নামে। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনায় জড়িত আসামীর অবস্থান সনাক্ত করে ডিবির পরিদর্শক শাহীনুর রহমান। পরে তদন্তকারী কর্মকর্তাকে নিয়ে অভিযান পরিচালনা করে।

বুধবার (১৮ ই অক্টোবর) দুপুর দেড় ঘটিকায় কোতয়ালী মডেল থানা এলাকা হতে ঘটনায় জড়িত আসামী (১) তানমীন হোসেন ইমন (২০) কে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত চাকুসহ গ্রেফতার করা হয়। সে খড়কি এলাকার আব্দুল জব্বারের ছেলে। আটক আসামি প্রাথমিক ভাবে স্বীকার করেছে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করাকে কেন্দ্র করে এই হত্যাকান্ড ঘটানো হয়েছে। মামলাটি পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ) রেজাউল করিম তদন্ত করছেন।

উল্লেখ্য, খড়কি(বামনপাড়া) এলাকার মৃত হাবিবুর গাজী ওরফে বুড়োর ছেলে ডিসিস্ট রিপন লেদ মিস্ত্রীর কাজ করত। গেল ১৬ ই অক্টোবর সন্ধ্যা অনুমানিক ০৭:৪০ ঘটিকায় রিপন ও তার বন্ধু মোস্তাফিজুর রহমান, বিপুল হোসেনদের নিয়ে কেনাকাটা করার উদ্দেশ্যে শহরের জিলা স্কুলের সামনে গেলে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে মামলার এজাহারনামীয় আসামিসহ অজ্ঞাতনামা আসামীরা চাকু দ্বারা কুপিয়ে তাকে রক্তাক্ত জখম করে। তিনজনকেই চিকিৎসার জন্য যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার ডিসিস্ট রিপন'কে মৃত ঘোষণা করেন।

(এসএমএ/এএস/অক্টোবর ১৮, ২০২৩)