নিউজ ডেস্ক : ধনী হওয়ার স্বপ্ন সবাই দেখেন, তবে ক’জনই বা হতে পারেন! আসলে ধনী হতে গেলে যেমন সৌভাগ্যেরও প্রয়োজন, ঠিক তেমনই পরিশ্রম, সততা ও জ্ঞানও থাকতে হয়।

বিশ্বের বিভিন্ন ধনী ব্যক্তিদের জীবনের কাহিনিতে নানা ধরনের টুইস্ট আছে। ধনী হতে চাইলে জীবনে ইতিবাচক চিন্তা ও কর্মকাণ্ডের বিকল্প নেই। এর পাশপাশি কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। জেনে নিন কী কী-

আয়ের একাধিক রাস্তা খুঁজুন
অর্থ উপার্জনের জন্য শুধু একটি নির্দিষ্ট কাজকে প্রাধান্য দেবেন না। ধরুন, চাকরির পাশাপাশি ছোটখাট ব্যবসা শুরু করুন। যা আপনাকে আরও উপার্জনে সহায়তা করবে।

উচ্চকাঙ্খী মানুষের সঙ্গে আড্ডা দিন
উচ্চাকাঙ্খী মানুষদের সঙ্গে মেলামেশা করুন। এতে নিজের মধ্যে আত্মবিশ্বাস আরও বাড়বে। ফলে লক্ষ্য পূরে আরও এগিয়ে যেতে পারবেন।

বড় বিষয় নিয়ে চিন্তা করুন
ছোটখাট বিষয় নিয়ে চিন্তা না করে বরং সব সময় বড় বিষয় নিয়ে ভাবুন। আপনার স্বপ্নপূরণের ক্ষেত্রে কী কী করণীয় সে বিষয়ে চিন্তার পরিধি আরও বাড়ান।

বিনিয়োগ করুন
বিভিন্ন খাতে অর্থ বিনিয়োগ করার মাধ্যমেও আপনি ভবিষতে অর্থ সঞ্চয় করতে পারবেন। যা এক সময় আপনার ধনী হওয়া স্বপ্ন পূরণ করবে। যদিও বিনিয়োগে ঝুঁকি থাকে লস হওয়ার, তবে সাফল্য পেতে হলে তো ঝুঁকি একটু নিতেই হবে!

মিতব্যায়ী হন
অর্থ সঞ্চয়ের একমাত্র উপায় হলো মিলব্যায়ীতা। আপনি যতটা বুঝে শুনে কম খরচ করতে পারবেন, ততই অর্থ জমাতে পারবেন। তাই বাজেট করে চলুন। বিশ্বের যত ধনী ব্যক্তি আছেন, তারাও প্রয়োজন ছাড়া বেশি অর্থ ব্যায়ে বিশ্বাসী নন।

সকালে ঘুম থেকে উঠুন
ধনী হতে চাইলে জীবনধারাও সঠিক ও সুস্থ রাখতে হবে। এজন্য সকালে ঘুম থেকে উঠুন দ্রুত, এরপর করুন শরীরচর্চা।

মনে রাখবেন, সুষ্ঠু জীবনযাত্রার মাধ্যমে আপনি যেমন শরীরকে সুস্থ রাখতে পারবেন, ঠিক তেমনই মনকেও লক্ষ্য পূরণে কাজ করার জন্য উৎসাহী করতে পারবেন।

লক্ষ্য নির্দিষ্ট করুন
ধনী হওয়ার স্বপ্নপূরণের ক্ষেত্রে আপনার লক্ষ্য নির্দিষ্ট করুন। আর সেই লক্ষ্যেই এগিয়ে যান নিরলস পরিশ্রমের মাধ্যমে। আপনার লক্ষ্য যতটা বাস্তবাদী হবে, ততটাই আপনি সফলতার পথে এগিয়ে যাবেন।

ঋণ পরিশোধ করুন
ধনী ব্যক্তিরাও তাদের ঋণ পরিশোধের বিষয়ে খুব সতর্ক থাকেন। যত দ্রুত সম্ভব ঋণের বোঝা হালকা করুন। না হলে ভয়াবহ পরিণতি হতে পারে।

আরাম-আয়েশ ত্যাগ করুন
ধনী হতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই কমফোর্ট জোন থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। ধনী ব্যক্তিরা সর্বদা কাজ নিয়ে ভাবেন, এজন্য তারা আরাম-আয়েশের জীবন পছন্দ করেন না।

তথ্যসূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া

(ওএস/এএস/অক্টোবর ১৮, ২০২৩)