জনবল সংকটে ঈশ্বরগঞ্জ মৎস্য অফিসের কার্যক্রম ব্যাহত
ঈশ্বরগঞ্জ প্রতিনিধি : ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়ে জনবল কাঠামো অনুযায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারীর পদসংখ্যা রয়েছে ছয়টি। তার মধ্যে পাঁচটি পদই শূন্য। তাই পাঁচজনের কাজ একহাতে সামলাতে হচ্ছে সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাকে। মৎস্য কর্মকর্তাকে একাই করতে হচ্ছে মৎস্য সম্প্রসারণ ও মান নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা, সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা, অফিস সহকারী, হিসাব রক্ষক ও অফিস সহায়কের কাজ। সর্বশেষ দুইজনের মধ্যে একজনের গত জুন মাসে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়ে যায় এবং আরেকজন গত সেপ্টেম্বরে পদোন্নতিজনিত বদলি হয়ে চলে যান। এমতাবস্থায় এ উপজেলার অগ্রসরমান মৎস্য খাতের সেবাগ্রহীতারা বঞ্চিত হচ্ছে কাক্সিক্ষত সেবা থেকে। সম্প্রতি অতিবৃষ্টিতে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয় মৎস্যখাত। উক্ত সময়ে একহাতে সারা উপজেলার চাষীদেরকে সহায়তা করতে চরমভাবে হিমশিম খেতে হচ্ছে মৎস্য কর্মকর্তাকে।
জানা যায়, বিভাগীয় অর্পিত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি অনেক সময় তদন্তকাজ, পরীক্ষা সহ বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালনকালে মাঠপর্যায়ে যেতে হয় অফিস তালাবদ্ধ করে। এমতাবস্থায় অফিস বন্ধ থাকায় উপজেলার বিভিন্ন প্রান্তের মৎস্যচাষীরা এসে সেবা না পেয়ে হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা এএসএম সানোয়ার রাসেল বলেন, আমার দপ্তরের মত জনবলশূন্য দপ্তর উপজেলায় আর একটি আছে বলে আমার জানা নেই। প্রতিদিনই মাঠপর্যায়ে গেলে অফিস তালাবদ্ধ করে যেতে হয়। এ অবস্থার নিরসন হওয়া একান্ত জরুরি।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা দীলিপ কুমার সাহা বলেন, আসলে এভাবে একটা অফিস চলতে পারেনা। বিষয়টি আমি আমার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি করেছি।
মৎস্য সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ময়মনসিংহের উপ-পরিচালক নজরুল ইসলাম বলেন, ঈশ্বরগঞ্জের জনবল সংকটের বিষয়টি আমার জানা। বিষয়টি আমি ইতোমধ্যে মহাপরিচালককে অবহিত করেছি। আশা করছি আগামী দুই এক মাসের মধ্যে এ অবস্থার নিরসন হবে।
(এন/এসপি/অক্টোবর ২১, ২০২৩)