মোঃ আব্দুল কাইয়ুম, মৌলভীবাজার : ফুটপাত দখল আর যানজটের কারণে সৌন্দর্য হারাচ্ছিলো পর্যটন চায়ের রাজধানী শ্রীমঙ্গল শহর। এবার সেই যানজট নিরসন এবং পথচারীদের নির্বিঘ্নে চলাচলের লক্ষ্যে পৌর এলাকার ভেতর বিভিন্ন সড়ক ও বাজারে ফুটপাত দখলমুক্ত রাখতে অভিযান চালিয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ।

শনিবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে পৌরসভার মেয়র মো. মহসিন মিয়া মধু'র নির্দেশে অভিযানে নেতৃত্ব দেন শ্রীমঙ্গল পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জহিরুল ইসলাম। পৌর এলাকার ভানুগাছ সড়ক, স্টেশন সড়ক, হবিগঞ্জ সড়কসহ বিভিন্ন সড়ক ও বাজারে চলে একযোগে উচ্ছেদ অভিযান। এসময় সড়ক ও সড়কের পাশে ফুটপাত দখল করে অবৈধভাবে যেসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে সেগুলো করা হয় উচ্ছেদ।

সচেতন মহলের দাবি, যানজটের মূল কারণ হচ্ছে শহরের প্রধান সড়কের পাশে অপরিকল্পিতভাবে হোটেল, রেস্তোরাঁ, ব্যাংক, বীমা অফিস গড়ে ওঠা। তারা বলেন, যে সকল হোটেল, রেস্তোরাঁ, ব্যাংক-বীমা অফিস গড়ে উঠেছে সেগুলোর নির্দিষ্ট কোন পার্কিং নেই, রেস্তোরাঁ এবং ব্যাংকে আসা কাস্টমারদের গাড়ি পার্কিং করা সড়কের মধ্যে। এতে করে পথচারী ও যান চলাচলে চরম দুর্ভোগ দেখা দেয়। সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানজটের।
পৌর এলাকার সচেতন মহল মনে করেন, ব্যবসায়ী এবং সাধারণ মানুষ নিজে থেকে সচেতন না হলে পৌর কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনের একার পক্ষে শহরের যানজট নিরসন ও সৌন্দর্য ধরে রাখা কোনভাবেই সম্ভব নয়। তারা বলেন আমরা দেখেছি পৌর কর্তৃপক্ষ এবং প্রশাসন অভিযান পরিচালনা করে চলে যাওয়ার পর আবারো কিছুসংখ্যক অসাধু ব্যবসায়ী ফুটপাত ও সড়কের পাশে বিভিন্ন পণ্যের পসরা নিয়ে বসে। যে সকল ব্যবসায়ী নিষেধ অমান্য করেন সেই অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তারা।

পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, শ্রীমঙ্গল একটি পর্যটন সমৃদ্ধ এলাকা। শ্রীমঙ্গলে দেশ-বিদেশ থেকে প্রতিদিন বহু মানুষের আগমন ঘটে এই শহরে। পৌরসভার পক্ষ থেকে আমরা চেষ্টা করি পর্যটকসহ সাধারণ মানুষ যেন নির্দ্বিধায় চলাফেরা করতে পারে। তবে কিছু ব্যবসায়ী আছে তারা নিষেধ অমান্য করে বারবার ফুটপাত এবং রাস্তা দখল করে পণ্যের পসরা বসিয়ে ব্যবসা করেন।

তিনি বলেন, আমরা মেয়র মহোদয়ের নির্দেশে বারবার অভিযান পরিচালনা করে ব্যবসায়ীদের অনুরোধ জানিয়েছি ফুটপাত এবং রাস্তা দখল করে ব্যবসা না করার জন্য। পুনরায় যদি এ ধরনের ঘটনা ঘটে তাহলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেবো।

(একে/এএস/অক্টোবর ২১, ২০২৩)