ওয়াজেদুর রহমান কনক, নীলফামারী : দলে দলে মুসল্লিদের আগমনে নীলফামারীর আঞ্চলিক ইজতেমা মাঠ পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। মুসল্লিদের পদভারে মুখর নীলফামারীর ইজতেমা মাঠ। নির্ধারিত সময়ের আগেই বিপুল সংখ্যক মুসল্লী ইজতেমা মাঠে অবস্থান নেওয়ায় একদিন আগেই শুরু হয়ে গেছে ইজতেমা। 

গত বুধবার আসরের নামাজের পর আম বয়ানের মাধ্যমে ইজতেমার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়ে গেছে, যদিও তা শুরু হওয়ার কথা ছিল বৃহস্পতিবার ফজর নামাজের পর থেকে। বুধবার বিকেলে ইজতেমা মাঠ পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষ, জেলা পুলিশের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারাও ইজতেমার মাঠ পরিদর্শন করেছেন।

নীলফামারীতে শুরু হওয়া এই ইজতেমা তিন দিনব্যাপী চলবে। শনিবার জোহর নামাজের পূর্বেই আখেরী মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে ইজতেমা।

নীলফামারী সদরের সঙ্গলশী ইউনিয়নের নগর দারোয়ানী সুতাকল (টেক্সটাইল মিল) সংলগ্ন কলোনি মাঠে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই ইজতেমা।

আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, পাঁচটি দেশের ১২০ জন অতিথি অংশ নিচ্ছেন এই আয়োজনে। এছাড়াও দেশি ইসলামিক চিন্তাবিদ ও ঢাকা কাকরাইল মসজিদের মুরুব্বীরা ইজতেমায় ধর্ম ও আখিরাত নিয়ে মূল্যবান বয়ান দিয়েছেন। বিভিন্ন দেশের মুসল্লিদের সুবিধার্থে এসব কয়েকটি ভাষায় অনুবাদ করে উপস্থাপন করা হচ্ছে।

ইজতেমার আয়োজক কমিটির পক্ষে দিদারুল ইসলাম দৈনিক বাংলা ৭১ কে বলেন, ‘সৌদি আরব, ইন্দোনেশিয়া, কাতার, মালয়েশিয়াসহ পাঁচটি দেশের বিদেশি মেহমান ইজতেমায় উপস্থিত থেকে বয়ান করবেন। জেলার ছয় উপজেলার মুসিল্লিরা অংশ নেবেন বলে জানান তিনি, লক্ষাধিক মুসল্লি এতে অংশ নেবেন বলে আশা করছেন তারা।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষে থেকে ‘আগত মুসল্লিদের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে একটি মেডিক্যাল টিম সার্বক্ষণিক কাজ করবে বলে আস্বস্থ করলেও ইজতেমা ময়দানে এখনও মেডিকেল টিমটি কাজ শুরু করেনি। এছাড়া বিনামূল্যে ওষুধ সরবরাহের ব্যবস্থাও করা হয়েছে বলেও আস্বস্থ করা হয়েছে।

ইজতেমা উপলক্ষে গোটা এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে জানিয়ে নীলফামারী সদর থানা সূত্রে জানা গেছে, ‘ইজতেমা মাঠসহ পুরো এলাকায় পুলিশ ও নীলফামারী র্যা ব-১৩ সিপিসি-২ দায়িত্ব পালন করবে।’

নীলফামারী পুলিশ প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে ‘ইজতেমা এলাকার চারপাশে সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের নজরদারি করতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া, ইজতেমায় সাধারণ মুসল্লিদের চলাচলের সুবিধার্থে আশপাশের রাস্তায় ভারি যানবাহন চলাচল সীমিত করা হয়েছে।’

নীলফামারী জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ‘ইজতেমাকে সফলভাবে সম্পন্ন করতে সবাই আন্তরিকভাবে কাজ করছে। জেলার পানি, বিদ্যুৎ, জনস্বাস্থ্য, ফায়ার সার্ভিস, পল্লী বিদ্যুৎ, পিডিবিসহ সংশ্লিষ্ট সবগুলো সংস্থা কাজ করছে।’

(ওকে/এসপি/অক্টোবর ২৬, ২০২৩)