মোঃ আব্দুল কাইয়ুম, মৌলভীবাজার : শনিবার ঢাকায় দলের মহাসমাবেশে হামলার প্রতিবাদে কেন্দ্র ঘোষিত বিএনপির ডাকা সকাল-সন্ধ্যা আকষ্মিক হরতালে কোন পিকেটিংয়ের চিত্র চোখে পড়েনি মৌলভীবাজারে। তবে শহরে হরতাল-নৈরাজ্যের প্রতিবাদে রাজপথে সরব উপস্থিতি দেখা গেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের।

রবিবার (২৯ অক্টোবর) সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত শহর ও আশপাশের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা যায়, সড়কে প্রতিদিনকার মতো স্বাভাবিকভাবেই রিক্সা, সিএনজি,মোটরসাইকেল, প্রাইভেট কারসহ ছোট ছোট যানবাহন চলাচল করছে।

জেলা শহর থেকে ছেড়ে গেছে বিভিন্ন উপজেলা শহরের উদ্যেশে বাস-মিনিবাসসহ বিভিন্ন প্রকারের গণপরিবহন। ঢাকা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গিয়ে দেখা যায় সেখানে অন্যান্য দিনের তোলনায় যাত্রী উপস্থিত অনেক কম। তবে ঢাকাসহ দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল কম ছিল। প্রধান সড়কে দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল কম থাকায় কিছুটা ফাঁকা দেখা যায় সড়ক। তবে সিএনজি অটোরিক্সার দাপট ছিলো প্রতিদিনের মতোই।

এদিকে দীর্ঘদিন পর বিএনপি হরতাল ঘোষনা করলেও মৌলভীবাজার শহরের প্রধান প্রধান সড়কে দলটি নেতাকর্মীদের কোন কর্মসূচি পালন করতে দেখা যায়নি, দেখা যায়নি পেকিটেংয়ের কোন চিত্রও। শহরের চৌমুহনা,কুসুমভাগ, বেরীরপাড়.ওয়াপদা মোড়সহ সড়কের মোড়ে মোড়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সতর্ক অবস্থান দেখা গেছে। অধিকাংশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও ছিলো খোলা।

অপরদিকে, বিএনপির ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতালে নৈরাজ্য ও নাশকতা প্রতিহত করতে মাঠে সরব উপস্থিতি ছিলো আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের। এদিন সারাদেশে বিএনপির ডাকা হরতাল, অগ্নিসন্ত্রাস ও নৈরাজ্য’র প্রতিবাদ জানিয়ে শহরের চৌমুহনা এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে জেলা আওয়ামী লীগ।

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ভিপি মিজানুর রহমান জানান, হরতাল কর্মসূচি পালনে সকালে সমশেরনগর সড়কে দলের নেতাকর্মীরা পিকেটিংয়ের চেষ্টা করছিলো, তবে ব্যাপক পুলিশি তৎপরতার কারণে সম্ভব হয়নি।

মৌলভীবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ চৌধুরী জানান, হরতালে জনগণের যানমাল রক্ষায় আমাদের সজাগ দৃষ্টি রয়েছে, তবে কোথাও কোন অপ্রিতিকর ঘটনা ঘটেনি। সবকিছুই ছিলো স্বাভাবিক।

(একে/এসপি/অক্টোবর ২৯, ২০২৩)