রিয়াজুল রিয়াজ, বিশেষ প্রতিনিধি : দৈনিক ভোরের চেতনা পত্রিকার সিলেট গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি আব্দুর রহিমের একটি ফেসবুক স্টাটাস ই বলে দেয় সিলেটের সাংবাদিকরা কতোটা অসহায়? মনে হচ্ছে, চোরাকারবারিদের সিন্ডিকেটের কাছে আটকানো তাঁদের সাংবাদিকতাও। 'মানুষের জন্যই সাংবাদিকতা' এমন কথাটি সিলেটে বড্ড বেমানান। একটু এদিক সেদিক হলেই মরতে হবে, না হয় গুম হতে হবে! এমন শঙ্কায় কাটে তাঁদের দিন-রাত।

উত্তরাধিকার ৭১ নিউজ এর পাঠকদের জন্য সিলেটের স্থানীয় সাংবাদিক আব্দুর রহিমের স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরছি:

"ভারত থেকে গরু মহিষ আসছে আসুক এতে আমার কি? সরকার রাজস্ব হারালে হারাক! এতে আমার কি? অন্যরা কর্তাদের নাম ও রাষ্ট্রীয় পোষাক কে বিক্রি করে দৈনিক লক্ষ লক্ষ টাকা চাঁদা তুলছে! তুলুক তাতে আমার কি?

এসব অনিয়ম আর চাঁদাবাজির কথা খবরের কাগজে লিখতে চাইলে কর্তারাই আমাদের পিছনে কুকুর লেলিয়ে দেন, তাই পাগলা কুকুরদের পঁচা খাবার নিয়ে লেখালেখির রুচি নাই! আর আমি এক ভিতু ব্যক্তি ভয়ে পালিয়ে গেলেও এখন নাগরিক সাংবাদিকতা বলেও একটা অপশন আছে, এই অপশনে দেশের প্রতিটি সুনাগরিকই সাংবাদিক বটে। কেউ না কেউ তো সত্যটা একদিন তুলে ধরবে।

বাংলার কৃষক পরিশ্রম করে গরু পালন করুক আর বাজারে বিক্রয়ের জন্য নিয়ে ঘাটতি দিয়ে বিক্রি করে বাড়ি ফিরুক। এই লুটপাট লগ্নে বাংলার খেটে-খাওয়া মানুষ তার পরিশ্রমের ন্যায্য মূল্যায়ন পায় নি আর পাবে বলেও মনে হয় না।

এগুলো নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশের আমার কোন ইচ্ছা নাই, ব্যবসায়ীরা বাঁচুক, সহযোগী সরকারি কর্মচারিরা বাঁচুক অপরাধের জয় হোক নিরপরাধী কিংবা অনুসন্ধানীরা নিপাত যাক।"

এমন ফেসবুকস্ট্যাটাস বিষয়ে আব্দুর রহিম উত্তরাধিকার ৭১ নিউজকে বলেন, 'আমি এই স্টাটাস দিয়েছি তিক্ত হয়ে, কারণ চোরাচালান নিয়ে নিউজ করার কারণে আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টা করতেছে পুলিশের কথিত লাইনম্যান উজ্জ্বল, মানিক, কামাল ও ডিবি পুলিশের লাইনম্যান জুবায়ের।’

(আরআই/এসপি/অক্টোবর ২৯, ২০২৩)