যশোর প্রতিনিধি : যশোরে চলমান তিন দিনের অবরোধের প্রথম দিনে সবজির বাজারে পন্য সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে। তবে বাজারে ক্রেতার উপস্থিতি কম দেখা গেছে। সবজির বাড়তি মূল্যে ক্রেতাদের মধ্যে নাভিশ্বাস বিরাজ করছে। শীতের মৌসুম শুরু হলেও কমেনি মৌসুমি সবজির দাম। এদিকে সরকার নির্ধারিত মূল্যে বিক্রি হচ্ছে না আলু, পেঁয়াজ ও ডিম। সাধারণ বিক্রেতা ও ক্রেতা উভয়ের মধ্যে ক্ষোপ লক্ষ্য করা গেছে। সাধারণ ক্রেতারা সরকার নির্ধারিত মূল্যে পন্য কিনতে না পারাতে বাজার মনিটরিং কে দায়ি করছে। সাথে সাথে বাজার দর বৃদ্ধিতে গড়ে উঠা ছোট বড় সিন্ডিকেট দমনের দাবি তাদের। এদিকে বাজারের খুচরা বিক্রেতারা বলছেন তারা পাইকারি যেমন দামে পণ্য ক্রয় করছেন তার উপর নির্ভর করে খুচরা বিক্রি করছেন।

আজ মঙ্গলবার যশোর শহরের বড় বাজারে সরেজমিন দেখা গেছে আলু বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫৫ টা দরে, পেঁয়াজ ১১০-১৩০ টাকা, রসুন ১৬০-২০০ টাকা, কাঁচামরিচ ১২০-১৮০ টাকা, বেগুন ৬০-৭০ টাকা, কলা ৪০ টাকা, বাঁধাকপি ৫০-৬০ টাকা, ফুলকপি ৮০ টাকা, লাউ ৪০ টাকা, পটল ৫০-৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। অন্য দিকে মাংসের দামও লাগাম ছাড়া দেখা গেছে। গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা কেজি দরে, ছাগল ১০০০ টাকা, মুরগি ২০০-২৬০ টাকা।

বেজপাড়ার বাসিন্দা সজীব কুন্ডু বলেন, বাজার করতে এসে দেখছি সব জিনিসের দাম বেড়েছে।সাধারণ মানুষের বাড়তি দামে পন্য কিনতে কষ্ট হচ্ছে। দ্রুত বাজার মনিটরিং করা দরকার।

বড় বাজারের ব্যবসায়ি সাকিব হোসেন বলেন, বাজারে লোকের উপস্থিতি কম। কেনা বেচা কমে যাচ্ছে। তাছাড়া বেশি দামে পন্য কেনার কারণে কিছুটা বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

(এসএ/এসপি/অক্টোবর ৩১, ২০২৩)