তপু ঘোষাল, সাভার : ঢাকা জেলার সাভারে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির এক শিক্ষার্থীকে ডেকে নিয়ে মারধরের চারদিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। প্রতিবাদে সড়কে অংগ্নিসংযোগসহ ওই এলাকার প্রায় দেড় শতাধিক দোকানপাট ভাঙচুর করেছে শিক্ষার্থীরা।

শুক্রবার (৩ নভেম্বর) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের খাগান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত শিক্ষার্থীর নাম হাসিবুল হাসান অন্তর। তিনি ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহ জেলায়।

জানা গেছে, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির দুই শিক্ষার্থী অন্তর ও রাহাতের মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল। সম্প্রতি সিটি ইউনিভার্সিটির এক শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় এই দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। পরে রাহাত স্থানীয়দের যোগসাজসে গত ৩০ অক্টোবর বিরুলিয়ার দত্তপাড়া থেকে অন্তরকে ডেকে নিয়ে যায়।

পরে বিরুলিয়া ব্রিজের নিচে নিয়ে গিয়ে অন্তরকে বেদম মারধর করেন স্থানীয়রা। মারধরের এক পর্যায় জ্ঞান হারিয়ে ফেললে স্থানীয়রা তাকে খাগান বাজারের কাছাকাছি এলাকায় ফেলে রেখে যায়। পরবর্তীতে শিক্ষার্থীরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে আশুলিয়ার রাজু হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য সাভারের এনাম মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। পরে পরিবারের তত্ত্বাবধানে ময়মনসিংহের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) তার মৃত্যু হয়। এরপর থেকে শিক্ষার্থীদের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছিল।

পরে ঘটনার প্রতিবাদে ক্যাম্পাস সংলগ্ন এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করে শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা সড়কে অংগ্নিসংযোগসহ প্রায় দেড় শতাধিক দোকানপাট ভাংচুর করে। তবে প্রাথমিকভাবে হতাহতের কোন সংবাদ পাওয়া না গেলেও বর্তমানে সেখানে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

এ ব্যাপারে সাভার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, শিক্ষার্থী অন্তর হত্যা মামলার প্রধান আসামি রাহাতসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলেও জানান তিনি।

(টিবি/এসপি/নভেম্বর ০৪, ২০২৩)