কেন্দুয়া প্রতিনিধি : সরকারি স্ট্যাম্প বিক্রয়ের ক্ষেত্রে নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ট্রেজারার জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে অনিয়ম র্দুনীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ ওঠেছে। অভিযোগটি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিচার দাবি করে নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক বরাবর ৭ নভেম্বর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন কেন্দুয়া পৌর শহরের শান্তিবাগ মহল্লার বাসিন্দা ও কেন্দুয়া এস.আর অফিসের আওতাধীন ভেন্ডার মো: হেলাল উদ্দিন।

জানা যায়, গত ২ নভেম্বর তিনি স্ট্যাম্প চালান দিতে নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ট্রেজারার জাহাঙ্গীর আলমের কাছে যান ভেন্ডার মো: হেলাল উদ্দিন। তখন জাহাঙ্গীর আলম তাকে বলেন, পূর্বের স্ট্যাম্প বিক্রি শেষ না হলে নতুন কোন চালান দেওয়া হবে না।

কেন হবে না অন্যদের কীভাবে দিয়েছেন জানতে চাইলে ট্রেজারার জাহাঙ্গীর আলম ভেন্ডার হেলাল উদ্দিনকে হুমকি দিয়ে বলেন, বেশি জানাজানি ও বলাবলি করলে আপনার লাইন্সেস বাতিল করে দেওয়া হবে। তাছাড়া ৩০ হাজার টাকার উপরে কোন ভেন্ডারকে চালান দেওয়ার নিয়ম নেই। ভেন্ডার হেলাল উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন চলতি বছরের ২৯ অক্টোবর কালাম নামক এক ভেন্ডারকে একটি সনদে ৩৬টি চালান দিয়েছেন, যার মূল্য ৮ লাখ ৯৪ হাজার ৩১৩ টাকা ৮০ পয়সা। এছাড়া আনিসুর রহমান নামের আরেক ভেন্ডারকে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকার চালান দিয়ে স্ট্যাম্প বিক্রি করেছেন ট্রেজারার জাহাঙ্গীর আলম।

হেলাল উদ্দিন অভিযোগ করে আরও বলেন রেজিষ্টারসমূহ আগে বছরে একবার দেখানোর বিধান ছিল, তখন দেখানোর সময় ট্রেজারারকে ১ হাজার টাকা সেলামি দিতে হতো। এখন বছরে চারবার দেখাতে হয়। এই চারবারের জন্য ট্রেজারারকে চার হাজার টাকা সেলামি দিতে হয়। স্ট্যাম্প বিক্রির অনিয়ম র্দুনীতির কারণে নিরুপায় হয়ে আমরা ভেন্ডারগণ নেত্রকোনা কালাম ভেন্ডারের নিকট থেকে ১০ টাকার স্ট্যাম্প ২০ টাকা, ২০ টাকার স্ট্যাম ৩০ টাকা, ৫ টাকার স্ট্যাম্প ২০ টাকায় ক্রয় করে এনে আরোও চড়া দামে বিক্রি করতে হয়। এতে জনগণ চড়ম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।

এ ব্যাপারে ট্রেজারার জাহাঙ্গীর আলমের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, একটি সনদে ৩৬টি চালান দিয়েছি তা সত্য নয়। তাছাড়া প্রতিবার রেজিষ্টার দেখার সময় ভেন্ডারদের কাছ থেকে এক হাজার টাকা রাখা হয় এ অভিযোগ উদ্দেশ্যমূলক। আমি মনে করি আমাকে হয়রানির জন্য উদ্দেশ্যমূলক এ অভিযোগ দেওয়া হচ্ছো। আমিও আমার বিরুদ্ধে দেওয়া আনিত আভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেন।

(এসবি/এসপি/নভেম্বর ০৯, ২০২৩)