বিপুল কুমার দাস, রাজৈর : রাজৈরে নবম শ্রেণীতে পড়ুয়া তন্ময় মোল্লা (১৫) নামে এক স্কুল ছাত্রকে পিটিয়ে হাত ভেঙ্গে দিলো তার সহপাঠি ও বাহিরের সন্ত্রাসীরা মিলে।

ঘটনার বিবরণে জানা যায় রাজৈর থানার ইশিবপুর ইউনিয়নের মোল্লাকান্দি শাখারপাড় নিবাসি কামরুল মোল্লার ছেলে তন্ময় মোল্লা (১৫) শাখারপাড় উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেনীর ছাত্র। সপ্তাহ খানেক আগে তন্ময় মোল্লার সাথে একই বিদ্যালয়ের সহপাঠী দবির মোল্লার নাতী ও ইলিয়াস মোল্লার ছেলে রানা মোল্লার ঝগড়া হয় এমনকি ছোট খাটো হাতাহাতি হয়। পরে এলাকার জনপ্রতিনিধি মেম্বর দুই পক্ষের মধ্যে ঘটনাটি মিমাংসা করে দেয়।

কিন্ত ১৩ নভেম্বর তন্ময় মোল্লা বার্ষিক পরিক্ষায় অংশ নিতে বিদ্যালয়ে আসে এবং পরিক্ষা শেষে বের হলেই আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা দবির মোল্লা ও তার ছেলেসহ চার পাঁচ মিলে তন্ময়ের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে এলো পাথাড়ি ভাবে পিটাতে থাকে মার খেতে খেতে এক পর্যায় তন্ময় মাটিতে লুটিয়ে পরে। তন্ময়ের চিৎকার শুনে আশে পাশের লোক জন ছুটে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। আর যাওয়ার সময় বলে যায় শালাকে জানে মারতে পারলাম না। তবে হাত পা ভেঙ্গে দিয়েছি।

এলাকার মেম্বর সহ আত্মীয় স্বজনরা তন্ময় কে রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করে দেয়। হসপিটালে তৎক্ষণাৎ দায়িত্বরত চিকিৎসক জানান তন্ময়ের বাম হাতের তর্জনী আঙ্গুল ও কব্জির হার ভেঙ্গে গেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন গ্রামবাসী জানান দরির মোল্লা ও তার ছেলে হাফিজুল মোল্লা আগে থেকেই সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক। তাদের নামে অনেক ধরনের অভিযোগ আছে।

তন্ময় মোল্লার বাবা কামরুল মোল্লা বেশ কিছুদিন আগে থেকে এই এলাকায় ঢীস লাইনের ব্যবসা চালু করেছে। তখন থেকেই কামরুল মোল্লার সাথে দবির মোল্লার বিরোধ চলছিল। দবির মোল্লা কামরুল মোল্লাকে বলে তুই এই এলাকায় ঢীসের ব্যবসা করতে পারবি না, আর ব্যবসা করতে হলে আমাকে বিশ লক্ষ টাকা চাঁদা দিতে হবে। কিন্ত কামরুল মোল্লা দবির মোল্লাকে কোন চাঁদা না দিয়েই ব্যবসা শুরু করে দিয়েছে। মুলত ঐ আক্রশ থেকেই এই মারামারি সংঘটিত হয়েছে।

এই রিপোর্ট লেখার আগে রাজৈর থানা অফিসার ইনচার্জ আলমগীর হোসেনের কাছে মারামারির ঘটনা জানেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন হ্যাঁ আমি শুনেছি এবং কামরুল মোল্লা বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করে

(বিকেডি/এএস/নভেম্বর ১৪, ২০২৩)