মোঃ শাজনুস শরীফ, বরগুনা : বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার বকুলতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুটি কক্ষ’কে নিজ বাসভবনে পরিনত করেছেন ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ আবু সালেহ।

বিদ্যালয়ের কক্ষ দুটি’কে দেখলে মনে হতে পারে বড় কোন শহরে ছোট একটি পরিবার বসবাস করছে, কি নেই সেখানে রান্না ঘর থেকে শুরু করে টিভি ফ্রিজ সব কিছুই রয়েছে সেখানে। স্কুলের বেঞ্চ দিয়ে করেছেন খাট আর টেবিলে রেখেছেন টিভি, রান্নার জন্য গ্যাসের চুলা। লাগিয়েছেন আকাশ। এছাড়াও রয়েছে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বাধ্য করে প্রাইভেট বানিজ্যের অভিযোগ।

২০২০ সালে থেকে শুরু করে দীর্ঘ তিন বছর যাবত বিদ্যালয়ের কক্ষে বসবাস করে আসছেন ওই প্রধান শিক্ষক।

এ-বিষয়ে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ আবু সালেহ এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমার বাসা দূরে, আ‌র এই সামনে চৌরাস্তায় আমার বাসা রাখা আছে কিন্তু যাতায়াত সমস্যা আর আমার বিদ্যালয়ে কোন নাইট গার্ড নেই, বিদ্যালয়ের কোন কিছু নষ্ট বা চুরি হয়ে যায় তবে তার দায়ভার প্রধান শিক্ষকের তারপরে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ফলের গাছ লাগানো হয়েছে এইসবের কারনে আমি এইখানে থাকি।

শ্রেনি কক্ষের বেঞ্চ নিয়ে খাট, রান্নার সামগ্রী এবং টেবিল দিয়ে আসবাবপত্র রাখার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ের সকল কক্ষ গুলো ব্যাবহারের প্রয়োজন পরে না তাই ওই কক্ষের অতিরিক্ত বেঞ্চ টেবিল নিয়ে করেছি আর আমি এখানে বেশি থাকি না রবিবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত থাকি। আবার বিশেষ বিশেষ অনুষ্ঠানেও থাকা লাগে। স্কুল ম্যানেজিং কমিটি আমাকে গত ২৮/১০/২১ তারিখ একটি রেজুলেশন করে বিদ্যালয় থাকার অনুভূতি প্রদান করেন।

তবে ২০২০ সালের পর থেকেই তিনি বিদ্যালয় অবস্থান করছেন বলে বিষটি স্বীকার করেন। কিন্তু প্রাইভেট বানিজ্য নিয়ে কোন কথা বলেননি তিনি।

এ-বিষয়ে উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার খাদিজা খানমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টা আমি জেনেছি এবং আমি আগামীকাল’ই এ বিষয়ে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নিবো।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার টি.এম. শাহ আলমের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিদ্যালয় কক্ষে কারো থাকার কোন নিয়ম নেই। তিনি কিভাবে থাকছেন সে বিষয়টি আমার উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার তদন্ত করে দেখবেন এবং যথাযথ ব্যবস্থা নিবেন। কোন কারণে তিনি ব্যর্থ হলে উপজেলা শিক্ষা অফিসার বিষয়টির সমাধানের ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

(এসএস/এসপি/নভেম্বর ১৯, ২০২৩)