মহুয়া বনে
শেলীনা রশীদ শেলী
মহুয়া বনে ঐ যে দেখো
ফুটেছে মহুয়া ফুল
এলো খোপায় এলোকেশীর
কানে মহুয়ার দুল।
আঁচল যে তার বাতাসে উড়ে
মনের মানুষ নাই গো ঘরে,
চোখের জলে নদী ভরে,
খুঁজে তারে বনে বাদাড়ে।
ঐ পাহাড়ের উপত্যকায়
কার সে বাঁশী সুরে কাঁদায়
মন ভোলানো বাঁশীর সুরে
মাতাল হাওয়া এলো উড়ে ।
মৃদু সমীরণ হৃদয়ে হায়
বাঁশিওয়ালার সুরে হারায়।
আঁচলটা তার বাতাসে উড়ে
মন মজেছে বাঁশীর সুরে।
এলোকেশী উড়ে গেলো
সেই না উপত্যকায়,
মুগ্ধ বাঁশিওয়ালা তার
সুর ভুলে যায়।
কাজল নয়না এলোকেশীর
মেঘবরণ চুল,
তাই না দেখে বাঁশিওয়ালার
মন হলো পাগল।
লজ্জা পেয়ে এলোকেশী
আঁচলে মুখ লুকায়,
শিহরিত বাঁশিওয়ালা
তার পিছু নেয় ।
এলোকেশীর তাই না দেখে
খুশির সীমা নাই।
ক’দিন পরেই বাঁশিওয়ালার
ঘরেই পেলো ঠাঁই।