বিশ্বজিৎ সিংহ রায়, মহম্মদপুর : মাগুরায় কাত্যায়নী পূজাকে ঘিরে এখন উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। দেশের বিভিন্ন জেলা সহ প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত থেকে ছুটে আসে এ উৎসবে অনেক মানুষ। গত শনিবার ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে এবারের কাত্যায়নী দেবীর আমন্ত্রণ জানানো হয়।

দেবী দুর্গার একটি বিশেষ রূপ কাত্যায়নী। এবছর উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে কাত্যায়নী পূজা শুরু হয়েছে। বুধবার দশমী এবং দেবীকে বিসর্জনের মধ্য দিয়ে কাত্যায়নী পূজার সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষ হবে।

মাগুরা জেলায় এবছর-৯৪টি মন্ডপে কাত্যায়নী পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। যার মধ্যে পৌর পৌর এলাকায় -১৯টি,মাগুরা সদর উপজেলায়-২৬টি,শ্রীপুর-১৩ টি, মহম্মদপুরে-৮টি, শালিখা উপজেলায় -২৮টি মন্ডপে জাকজমকপূর্ণভাবে কাত্যায়নী পূজা চলছে। শহরের সব থেকে বেশি আনন্দ উৎসব বিরাজ নিজনান্দুয়ালী, জামরুলতলা, সাতদোহাপাড়া, নতুন বাজার, বাটিকা ডাঙ্গা, উপজেলা পাড়া, শিবরামপুর, পারন্দুয়ালী সহ জেলা বিভিন্ন স্থানে। আধুনিক আলোকসজ্জা ও নির্মাণ করা হয়েছে অসংখ্য তরুণ গেট প্যান্ডেল এবং অনেক মণ্ডপে নারী ও পুরুষের প্রবেশ আলাদা করা হয়েছে।

এই পূজার আনন্দ নানা রংয়ের লাইটিং এবং বর্ণিল সাজে সজ্জিত মন্ডপ গুলো দেখতে সারারাত মানুষের ছোটাছুটি দেখা যাচ্ছে। এছাড়া শহরে কয়েকটি স্থানে মেলা বসেছে। মেলাতে নারী পুরুষ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ প্রতিদিন ভিড় করছে। প্রতিটি মন্দিরে নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক ও পাশাপাশি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়োজিত রয়েছে।

জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ সূত্রে জানা যায়, মাগুরা শহরের পারনান্দুয়ালীর সতীশ মাঝি নামের এক ব্যক্তি প্রথম এ পূজা প্রতিষ্ঠা করেন। শারদীয় দূর্গা উৎসবের সময় পেশাগত কাজে ব্যস্ত থাকায় জেলে সম্প্রদায়ের সুবিধার জন্য তিনি দেবী দুর্গার রূপে কাত্যায়নী পূজা শুরু করেন।

(বিএস/এসপি/নভেম্বর ২১, ২০২৩)