তপু ঘোষাল, সাভার : ‘উড়লে আকাশে প্রজাপতি, প্রকৃতি পায় নতুন গতি’ স্লোগানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) প্রাণিবিদ্যা বিভাগের আয়োজনে শুরু হয়েছে প্রজাপতি মেলা-২০২৩।

শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনের সামনে বেলা ১১টায় মেলার উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নুরুল আলম।

বন্যপ্রাণী ও প্রজাপতি সংরক্ষণে সার্বিক অবদানের জন্য এবারের প্রজাপতি মেলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলামকে বাটারফ্লাই অ্যাওয়ার্ড এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী মো. জহির রায়হানকে বাটারফ্লাই ইয়াং ইনথুসিয়াস্ট অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। এছাড়া তিনজনকে বাটারফ্লাই মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. নূরুল আলম বলেন, প্রজাপতি মেলা সবার কাছে প্রিয় হয়ে উঠেছে৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ-প্রকৃতি রক্ষায় আমরা দু'টি মাস্টারপ্ল্যান করার চেষ্টা করছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৃতি রক্ষায় একটা বায়োডাইভারসিটি প্ল্যান আরেকটি একাডেমিক মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নের কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে৷ প্রজাপতি মেলায় প্রজাপতির আদলে যে সকল প্রদর্শনী হচ্ছে তা শিশুদের মনেও মনে বিশেষ জায়গা করে নিয়েছে৷

উপাচার্য দর্শনার্থী, প্রজাপতি বিশেষজ্ঞসহ সকলকে ধন্যবাদ জানান ও প্রকৃতি সংরক্ষণে সকলকে এগিয়ে আদার আহ্বান জানান।

প্রজাতির মেলা ২০২৩ এর আহবায়ক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মনোয়ার হোসেন বলেন, প্রজাপতি সংরক্ষণ বিষয়ক সচেতনতা এবং প্রকৃতিতে প্রজাপতির গুরুত্ব সম্পর্কে জানানোর জন্য আমরা এই মেলার আয়োজন। প্রজাপতি প্রকৃতির গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। প্রজাপতি টিকে থাকলে প্রকৃতি সুন্দর থাকবে। ইকোসিস্টেম ও ফুড চেইনে প্রজাপতির যেই অবদান সেই সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি হলেই আমাদের আয়োজন স্বার্থক হবে।

২০১০ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ১১০ প্রজাতির প্রজাপতি ছিল। তবে সেই সংখ্যা বর্তমানে অনেক কমেছে। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে মাত্র ৫৭ প্রজাতির প্রজাপতি পাওয়া যায়। প্রজাপতির বংশবিস্তারের জন্য অনুকূল ঝোঁপঝাড় কমে যাওয়ায় প্রজাপতির সংখ্যা অস্বাভাবিকভাবে কমছে। তবে আশার ব্যাপার হলো যে, বনাঞ্চল থেকে বেশ কয়েক প্রজাতির প্রজাপতি জাহাঙ্গীরনগরে এসেছে।

দিনব্যাপী জীবন্ত প্রজাপতি প্রদর্শন, প্রজাপতি বিষয়ক ছবি আঁকা ও কুইজ প্রতিযোগিতা, প্রজাপতি বিষয়ক আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও আলোকচিত্র প্রতিযোগিতা, প্রজাপতির হাট দর্শন, প্রজাপতির আদলে ঘুড়ি উড়ানো, বারোয়ারী বির্তক প্রতিযোগিতা, প্রজাপতি চেনা প্রতিযোগিতা এবং প্রজাপতি বিষয়ক ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করার মধ্য দিয়ে শেষ হবে দিনব্যাপী প্রজাপতি মেলা- ২০২৩।

(টিজি/এসপি/নভেম্বর ২৪, ২০২৩)