মোঃ শান্ত, নারায়ণগঞ্জ : নারায়ণগঞ্জ জেলা ট্রাফিক পুলিশের নিয়মিত কার্যক্রম হিসেবে বেশ পরিচিত রেকার। শহরকে যানজট মুক্ত করার লক্ষ্যে এই রেকার পরিচালিত হয়ে। কিন্তু তাতেও কোনো ভাবে কমানো যাচ্ছে না শহরের মুল সড়ক গুলোর যানজট। রেকার যারা পরিচালনা করছে তাদের সাথে কিছু অসাধু সোর্স মিলে করছে কার্ড বানিজ্য। এছাড়া কলেজ রোড এলাকায় অবস্থিত চাষাড়া পুলিশ ফাঁড়ি এখন পরিচিত ডাম্পিং নামে। আর সেখানেই চলে অটো বানিজ্য। এমনকি এখন অটো চালকদের কাছে ডাম্পিং মানে হচ্ছে টর্চারসেল। যেখানে অটোরিকশা চালকদের সঙ্গে করা হয় খারাপ ব্যবহার ও মারধর। ডাম্পিং নামের এই টর্চারসেল থেকে মুক্তি চায় অটোরিকশা চালকরা। প্রশাসনকে এই ব্যাপারে বার বার অবগত করার পরও প্রয়োজনীয় সুফল মিলচ্ছেনা এখানে।

গত মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) এটিএসআই হানিফের ম্যানেজার খ্যাত শামীম ও গাড়ি ধরার সোর্স শাহিন এক অটোরিকশা চালকে রাস্তা থেকে ধরে ডাম্পিংয়ে নিয়ে গিয়ে মারধর করে।

এসময় অটোরিকশা চালক বলেন, আমার গাড়িটা ধরে ডাম্পিংয়ে নিয়ে আসে আমি স্যারের (এটিএসআই হানিফ) কাছে পা ধরে বললাম স্যার আমাকে ছেড়ে দিনে আমি আমার আসবো না। স্যারকে এ কথা বলায় সোর্সেরা আমাকে রাস্তায় মারধর করে। এরপর ডাম্পিংয়ে আসার পর দুইজনে মিলে আমাকে আবার মারধর করে। আমি এর বিচার চাই।

একটি ভিডিওতে দেখা যায় সোর্স শাহিন ও ম্যানেজার শামীম দুজনে একসাথে মিলে ডাম্পিংয়ের ভিতর এক চালককে মারধর করে আহত করে। এবিষয়ে জানতে শাহিন ও শামীমের সাথে কথা বললে তারা বলেন তারা কোনো রিকশা চালককে মারধর করে নাই। তারার একটা অটোরিকশা ধরেছিলো সেই রিকশার প্যাসেঞ্জারকে মারধর করে। কারন জানতে চাইলে তারা আরো বলেন মারধরের শিকার ঐ লোক তাদেরকে গাড়িটি ছেড়ে দেয়ার জন্য অনুরোধ করেছিলেন।

উল্লেখ্য, এরপূর্বে ও রেকারের একাধিক কর্মকতা ও সোর্সের বিরুদ্ধে অটোরিকশা চালকদের মারধরের অভিযোগ উঠে।

এ বিষয়ে এটিএসআই হানিফ বলেন, আমি মারধরের ব্যাপারে জানি না। আমার সামনে কাউকে মারধর করে নাই। বা আমার কাছে কেউ মারধরের ব্যাপারে কিছু বলেও নাই। তিনি এসময় আরো বলেন কিন্তু আমি থাকলে রুমে নিয়ে তালা মেরে পিটাইতাম।

উক্ত বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) রুহুল আমিন সাগর বলেন, আমি এবিষয়ে অবগত হয়েছি। আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সাথে বিষয়টি আলোচনা করছি। অতি দ্রুত এবিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

(এস/এসপি/নভেম্বর ২৪, ২০২৩)