ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁওয়ে অক্টোবরের শেষের দিকে শীত অনুভূত হলেও এবার নভেম্বর শেষ হতে চললেও শীতের দেখা নেই বললেই চলে। নভেম্বরের শেষে হাঁড় কাপনো শীতে জীবন যবুথবু হয়ে গেলেও এবার এই শীতে এ অঞ্চলের মানুষ বেশ আরামেই আছে। হাল্কা কুয়াশা আর হাল্কা শীতেই কেটে যাচ্ছে নভেম্বর মাস।

এর মধ্যেই পাড়া-মহল্লার অলিতে গলিতেসহ বিভিন্ন জায়গায় শীতের পিঠার দোকান বসেছে। ভাপা-চিতই পিঠার পসরা নিয়ে বসেছে দোকানীরা। কাঞ্চনজঙ্ঘার চূঁড়াও স্পস্টভাবেই দেখা যাচ্ছে এবছর। শীতকাল আসলে সাধারণত উজ্জ্বল দিনের আশায় থাকতে হতো কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখার জন্য কিন্তু এবছর আকাশ এমনিতেই পরিষ্কার তাই কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে তেমন অসুবিধা হচ্ছেনা।

এদিকে শীত দেরিতে আসায় বিপাকে পড়েছে পুরাতন কাপড় ব্যাবসায়ীরা। গার্মেন্টস কাপড়ের দোকানে কিছুটা ভীড় থাকলেও পুরাতন কাপড়ের কাপড়ের দোকানে নেই ক্রেতার আনাগোনা। জিলা স্কুল বড় মাঠের পূর্বপাশে মৌসুমি দোকানদাররা বসেছে পুরাতন কাপড়ের দোকান নিয়ে।

তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এবার এখন পর্যন্ত শীত না থাকায় ক্রেতা সংকটে ভুগছেন তারা। হকার্স মার্কেটের পুরাতন কাপড় ব্যাবসায়ী লালু, বাবু, মানিক বলেন শীত না থাকায় অনেক টাকা বিনিয়োগ করে তারা বসে আছেন। তেমন বিক্রি নেই। এমনকি কোনকোন দিন তাদের বহুনি ছাড়াই কেটে যায়। পরিবার পরিজন নিয়ে তারা কষ্টে কাটাচ্ছেন। এদিকে কিছুটা ভিন্ন চিত্র নতুন কাপড়ের দোকানে। গার্মেন্টস কাপড়ের দোকানে কিছুটা খদ্দেরের আনাগোনা দেখা যাচ্ছে।

শতরুপার মালিক টিটো রহমান বলেন, কাষ্টমারের কিছুটা আনাগোনা শুরু হয়েছে। মনে হয় তারা অগ্রীম শীতের কাপড় কিনছেন। সাধারণ মানুষ ধারণা করছেন বৈশ্বিক অতি উষ্ণতার কারণে এবার শীতের প্রভাব কম ও দেরীতে শীত পড়বে।

আশ্রমপাড়ার জেসমিন বেগম বলেন, সারাদিন এমনিতেই কেটে যায়। সন্ধ্যার পর হাল্কা ঠান্ডা লাগে।রাতে একটা কাঁথা নিলেই চলে। বাচ্চা-কাচ্চা নিয়ে তেমন কোন অসুবিধে নেই।বেশী শীত পড়লেই সমস্যা।

সাংবাদিক রবিউল এহসান রিপন বলেন, সন্ধ্যার পর বাইকে চড়লে হাল্কা গরম কাপড় পরতে হয়। এছাড়া দিনে কোন সমস্যা নেই।

এ ব্যাপারে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সিরাজুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, শীতের তীব্রতা ধীরে ধীরে বাড়ছে। ডিসেম্বর আসলে শীত বাড়বে। বর্তমানে সর্বচ্চ তাপমাত্রা ৩০ডিগ্রী ও সর্বনিম্ন ১৬ডিগ্রী সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।

(এফআর/এসপি/নভেম্বর ২৫, ২০২৩)