মোঃ শাজনুস শরীফ, বরগুনা : মারধর করে নন জুডিশিয়াল অলিখিত সাদা ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষর রাখা, ভয়ভীতি দেখানোসহ টাকা ও স্বর্নলংকার হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে র‍্যাবের সার্জেন্টসহ তিনজনকে আসামী করে আদালতে মামলা করেছেন সাব্বির শিকদার নামের এক যুবক। মঙ্গলবার (২৭ নভেম্বর) বরগুনা চীফ জুডিশিয়াল আদালতে মামলাটি দায়ের করলে বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ কে এম মিজানুর রহমানকে মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। মামলা নম্বর সি/আর ১৪৮৩।

মামলার বাদী সাব্বির শিকদার সদর উপজেলার ১নম্বর বদরখালী ইউনিয়নের বদরখালী গ্রামের ফারুক শিকদারের এর ছেলে।

মামলার আসামিরা হলেন বেতাগী উপজেলার ৭ নম্বর সরিষামুড়ি ইউনিয়নের সরিষামুড়ি গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য মৃত বজলুর রহমানের ছেলে বেল্ললা ও আজাদ। বেল্লাল সেনাবাহিনীতে চাকরি করলেও বর্তমানে র‍্যাব সদর দপ্তরে সার্জেন্ট পদে কর্মরত আছেন এবং আজাদ একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। মামলার অপর আসামী সজল বদরখালী এলাকার মৃত মজিদ মাতুব্বরের ছেলে।

মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মামলার বাদী সাব্বির শিকদার নামের ওই যুবক কে শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) রাত সাড়ে নয়টায় দিকে বরগুনার লাকুরতলা-মাছ বাজার ব্রীজের উপর থেকে র‍্যাব সার্জেন্ট বেল্লালসহ সজল ও আজাদ সাব্বির কে ধরে নিয়ে এসে পৌর শহরের উকিল পট্টির কাচা বাজার টলের উত্তর পাশে একটি ঘরের অন্ধকার একটি কক্ষে আটকে রেখে মারধর করে এবং এক লক্ষ টাকা দাবী করে। এসময় নগদ সত্তর হাজার টাকা, আড়াই ভড়ি ওজনের স্বর্নকার ও ১০০ টাকার তিনটি নন জুডিশিয়াল তারিখবিহীন অলিখিত সাদা ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষর রেখে হুমকি ধামকি দিয়ে তাদের ছেড়ে দেয়। এসময় রাজিব শিকদার নামের অপর এক যুবক সাব্বিরকে মারধরের হাত থেকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসলে তাকেও মারধর করে বেলাল ও তার সহযোগীরা। বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের জরুরী বিভাগে চিকিৎসা নেয় রাজিব।

অভিযুক্ত র‍্যাব সদস্য বেলাল মোবাইল ফোনে ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষর রাখার স্বীকার করেন। মারধর করার বিষয়ে থাপ্পড় দেওয়া দেওয়া দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। তবে টাকা ও স্বর্নলংকার নেওয়ার বিষয়টি মিথ্যা বলে জানান তিনি।

বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ কে এম মিজানুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় মামলা করার জন্য থানায় কেহ আসেনি। আদালতের আদেশের কোন কপি এখনো থানায় আসেনি।

(এসএস/এসপি/নভেম্বর ২৮, ২০২৩)