মোঃ শান্ত, নারায়ণগঞ্জ : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৪ (সিদ্ধিরগঞ্জ-ফতুল্লা) আসনে নির্বাচনের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলা রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হকের হাতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের কান্ডারী ও বর্তমান সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান। এসময় তার ছেলে অয়ন ওসমান সাথে ছিলেন।

২৯ নভেম্বর (বুধবার) বিকালে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হকের নিকট মনোনয়ন জমা দেন। মনোনয়ন জমা দিয়ে তিনি সাংবাদিকের সাথে কথা বলে।

এসময় একেএম শামীম ওসমান বলেন, আমি যদি ১জনকে বলতে যাই তাহলে আমার কম হলেও ২হাজার নেতা আছে যারা আমার থেকে যোগ্যতা সম্পন্ন নেতা। তাদের এখানে থাকা উচিত বলে আমি মনে করি। যাদের কারণে আমি আজকে আমার জায়গায় আছি। আমার নিজস্ব কোনো যোগ্যতা নাই ওনাদের কারনেই আছি। আর যদি ২হাজার লোক জানে তাহলে এই কোট চত্বরে হাজার হাজার লোক আনা কোনো ব্যাপার না। আমি না চাইলেও হবে যদি না চাইলেও হয় আল্টিমেটলি মিডিয়াতে দেখবে। দেখার পর বলা হবে নির্বাচন কমিশনের আইন আমরা ভঙ্গ করেছি। এ কারণে আমি নিজে একা এসেছি সহায়ক হিসেবে আমার ছেলে আমার সাথে এসেছে।

তিনি আরো বলেন, এই সরকার আমাদের সরকার। জনগণ চায় একটি সুষ্ঠু সুন্দর নির্বাচন। আমাদের সভানেত্রীর নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করা এবং এখন থেকেই একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের ধারা অব্যাহত রাখা। সে কারনে যা যা করা দরকার, যে আইন আছে সেগুলো মেনে চলা আমাদের কর্তব্য। সে কারনে আমি জীবনে প্রথম মনোনয়ন পত্র দিতে এসেছি একা। এর জন্য টাইমটাও নিয়েছি লাস্ট টাইম। যাতে কেউ টের না পায়।

এ সময় বিএনপি জেলা কমিটির সভাপতি গিয়াসউদ্দিনের মনোনয়ন পত্র নিয়ে বলেন, ওনার পক্ষে যে নমিনেশন নেয়া হয়েছে যেটা পত্র-পত্রিকায় দেখেছি ওনার ছেলের সচিব সে এই মনোনয়ন পত্র নিয়েছে। যার সিসিটিভি ফুটেজ ও আইডি কার্ড সব কিছুই আছে। এখানে ৩টা জিনিস হতে পারে ১ হলো স্টান্ড বাজি নাম প্রচার করা দ্বিতীয় হচ্ছে মনোনয়ন পত্র কিনে রাখা ও অন্য কোনো দলে ঢোকার চেষ্টা করা। সাংবাদিকদের তিনি আরো বলেন, আমি ধরে নিলাম ওনার কথা যদি সত্যি হয় তিনি মনোনয়ন কিনেন নাই বা কাউকে কিনতে বলেন নাই। তাহলে আমি মনে করি এটা নির্বাচন কমিশনকে বিতর্কত করছে এবং আমাদেরকে ও আমরা যারা প্রার্থী আমাদেরকেও বিব্রত করছে। দেখা যাবে বিষয়টি দারাবে এরকম যে আমরাই ওনাদের কাউকে দিয়ে কিনিয়েছি ওনার সম্মান ক্ষুন্ন করার জন্য। তাই আমি আপনাদের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনের কাছে অনুরোধ করবো যে লোকটি তার মনোনয়ন কিনেছে সে যদি সত্যি সত্যি তার মতামত না নিয়ে কিনে তাহলে আমি মনে করি এটি একটি অপরাধ।

এছাড়া নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শামীম ওসমান ১৯৯৬ সালে প্রথমবারের মতো নারায়ণগঞ্জ-৪ (সিদ্ধিরগঞ্জ-ফতুল্লা) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এ আসনে থেকেই ২০১৪ ও ২০১৮ সালে শামীম ওসমান বিজয়ী হন।

উল্লেখ্য আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে। নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ৩০ নভেম্বর।

(এমএস/এএস/নভেম্বর ২৯, ২০২৩)