স্টাফ রিপোর্টার : যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেছেন, বিশ্বস্ততায় বঙ্গবন্ধুর ছিল শেখ মণি, শেখ হাসিনার আছে যুবলীগ। শেখ মণি ছিলেন আন্তরিক, বন্ধুদের প্রতি সংবেদনশীল, আর শেখ মুজিবের একান্ত অনুরক্ত ভক্ত। প্রকৃতপক্ষে বঙ্গবন্ধুর একটা প্রধান শক্তির নাম শেখ ফজলুল হক মণি। শেখ ফজলুল হক মণির অনুসারী এবং সংগঠনের কর্মী হিসেবে আমরাও গর্বের সঙ্গে বলতে পারি, যুবলীগের নেতাকর্মীরা বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার জন্য সর্বোচ্চ আত্মাহুতি দিতে গর্ববোধ করবে।

সোমবার (৪ ডিসেম্বর) যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শহীদ শেখ ফজলুল হক মণির ৮৫তম জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে যুবলীগ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

এর আগে এদিন সকাল সাড়ে ৯টায় বনানী কবরস্থানে শহীদ শেখ মণিসহ ১৫ আগস্টে নিহত সব শহীদের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন, ফাতেহা পাঠ, দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

আলোচনা সভায় পরশ বলেন, শহীদ শেখ ফজলুল হক মণির অনুসারী ও সহকর্মীদের ভাষায়, তিনি বাংলাদেশের বিপ্লবে সংগ্রামে এক অকুতোভয় নেতা ছিলেন। সন্তান হিসেবে আমি গর্ববোধ করি যে তিনি রণাঙ্গনেও নিজে সরাসরি যুদ্ধ করেছেন দেশমাতৃকার মুক্তির জন্য। মুজিবাহিনীর শীর্ষ নেতাদের মধ্যে তিনিই সবার আগে সম্মুখযুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছেন বলে জানা গেছে। ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সশস্ত্র বাহিনী বাংলাদেশে ঢোকার আগেই, ২৩ নভেম্বর জেনারেল উবানের নেতৃত্বে দেশের পূর্বাঞ্চলে শুরু হয় ‘অপারেশন ঈগল’। শেখ মণি বিএলএফের কয়েকজন সদস্য নিয়ে তাদের সঙ্গে ‘অপারেশন ঈগলে’ যোগ দিয়ে বীরত্বের সঙ্গে যুদ্ধ করেছিলেন।

‘‘জেনারেল উবানের বর্ণনায়, ‘অদম্য সাহসের অধিকারী স্থিরপ্রতিজ্ঞ শেখ মণি। পার্বত্য চট্টগ্রামের সবচেয়ে প্রতিবন্ধকতাপূর্ণ ভূমিতে আসল যুদ্ধের সময় আমার সঙ্গে ছিলেন। তিনি শুধু নেতা না, তিনি সর্বোপরি একজন রাজনৈতিক কর্মী ছিলেন। আমাদেরও নেতা হওয়ার আগে সর্বপ্রথম কর্মীদের কাতারে যেয়ে কর্মী হতে হবে।’’ বলেন শেখ পরশ।

যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, জেনারেল উবান আরও লিখেছেন, ‘হালকা পাতলা গড়নের মানুষটি যেন এক জ্বলন্ত মশাল। তাদের স্বাভাবিক নেতা বলে মনে হতে তাকে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রতি অত্যন্ত নিবেদিতপ্রাণ ছিলেন এবং যেকোনো আত্মত্যাগের জন্য প্রস্তুত ছিলেন।’

তিনি বলেন, শেখ মণি ছিলেন আন্তরিক, বন্ধুদের প্রতি সংবেদনশীল, আর শেখ মুজিবের একান্ত অনুরক্ত ভক্ত। প্রকৃতপক্ষে বঙ্গবন্ধুর একটা প্রধান শক্তির নাম শেখ ফজলুল হক মণি। শেখ মণি বেঁচে থাকলে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা অসম্ভব হয়ে যেতো, এটা ওই ’৭৫-এর খুনিরা ভালোভাবেই জানতো। তাই তারা শেখ মণিকেই প্রথমে হত্যার পরিকল্পনা করেন। তিনি আরও বলেন- শেখ মণি আমাদের কাছে বিশ্বস্ততারও প্রতীক।

যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও ১৪ দলের মুখপাত্র আমির হোসেন আমু। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। এতে আরও বক্তব্য রাখেন-ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল, দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানা, উত্তরের সাধারণ সম্পাদক মো. ইসমাইল হোসেন, দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজা।

(ওএস/এএস/ডিসেম্বর ০৫, ২০২৩)