মাদারীপুর প্রতিনিধি : মাদারীপুর-৩ আসনে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোসা. তাহমিনা বেগম আদালতে হাজির হয়েছিলেন। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় মাদারীপুর-০৩ আসনের নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ও যুগ্ম জেলা জজ আদালতের (ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনাল) বিচারক মো. শরিফুল হকের কাছে লিখিত ব্যাখ্যা দেন তাহমিনা বেগম।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোসা. তাহমিনা বেগমের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সহকারী রিটানিং অফিসার ও কালকিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন আওয়ামীলীগের নৌকার মনোনীত প্রার্থী আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপ।

এই অভিযোগের পর অভিযুক্ত স্বতন্ত্র প্রার্থী মোসা. তাহমিনা বেগমকে মঙ্গলবার বেলা ১১টায় নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ও যুগ্ম জেলা জজ আদালতের (ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনাল) বিচারক মো. শরিফুল হক স্ব-শরীরে হাজির হয়ে প্রার্থীকে কারণ দর্শাতে বলেন। এরই প্রেক্ষিতে অভিযুক্ত ও অভিযোগকারী উভয় হাজির হয়ে লিখিত ব্যাখ্যা দেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাদারীপুর-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোসা. তাহমিনা বেগম গত ২৯ নভেম্বর গাড়ি বহরসহ বহিরাগত ও তার অনুসারিদের নিয়ে প্রভাব খাটিয়ে ব্যান্ড পার্টি, ঢোল বাদ্য যন্ত্র, বাঁশি বাজিয়ে ও খিচুরী ভোজন পরিবেশন করে মনোনয়নপত্র জমা দিতে যান। পরে তিনি ঐদিন জমা না দিয়ে চলে আসেন। পরের দিন ৩০ নভেম্বর সকালে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। যা নির্বাচনী আচরণ বিধি ভঙ্গের সামিল।

এ ব্যাপারে মাদারীপুর-৩ আসনের স্বতন্ত্রপ্রার্থী মোসা. তাহমিনা বেগম বলেন, আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপ ও তার একজন সমর্থক দুই জনেই একই ধরণের অভিযোগ করেছেন আমার বিরুদ্ধে। এগুলো মিথ্যা অভিযোগ। অভিযোগে ঘটনার দিন যা বলা হয়েছে, তার কিছুই ঘটেনি। এই ঘটনার মধ্যে কোন সত্যতা নেই। ঐদিন কোন ধরণের খিচুরি ভোজন বা ঢাক ঢোল বাদ্যযন্ত্র বাজানো হয়নি। অথচ ওনারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন। আমার মান সম্মান নষ্ট করার জন্য, আমাকে হয়রানি করার জন্য এই অভিযোগ করেছেন তারা।

অভিযোগকারী আওয়ামীলীগের মনোনিত প্রার্থী আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপ বলেন, স্বতন্ত্রপ্রার্থী তাহমিনা বেগম ও আরেক স্বতন্ত্রপ্রার্থী তৌফিকুজ্জামান আমার বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছেন। ব্যাপক সমাগমের মধ্য দিয়ে আমি নাকি মনোনয়পত্র জমা দিয়েছি। সেখানে আমি নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন করেছি। গত রবিবার ৩ ডিসেম্বর আমি আদালতে স্বশরীরে এসে বলেছি, আমি এধরণের আচারণ করিনি। আমিও একটি অভিযোগ করেছিলাম স্বতন্ত্র প্রার্থী তাহমিনা বেগম ও আরেকপ্রার্থী তৌফিকুজ্জামানের বিরুদ্ধে। তারাও ব্যাপক সমাগমের মধ্য দিয়ে ঢাল ঢোল পিটিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। তারাও নির্বাচনী আচারণ বিধি লঙ্ঘন করেছেন।

(এএসএ/এসপি/ডিসেম্বর ০৫, ২০২৩)