স্টাফ রিপোর্টার : ভারতের পশ্চিমবঙ্গের যাদবপুর থেকে কবি সম্মাননা পেয়েছেন বাংলাদেশের জাকিয়া সুলতানা শিল্পী। গত ২ ডিসেম্বর ২০২৩ শনিবার কলকাতার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাতানুকুল ত্রিগুনা সেন অডিটোরিয়ামের ইন্দুমতি সভাঘরে অনুষ্ঠিত হলো প্রফেসর ড. এমদাদ হোসেন সম্পাদিত সাহিত্যসুবর্ণ আন্তর্জাতিক পত্রিকার বার্ষিক অনুষ্ঠানে কবি জাকিয়া সুলতানা শিল্পীকে এই সম্মাননা দেওয়া হয়। 

ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য প্রফেসর সুজিত কুমার বসু, উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর বুদ্ধদেব সাউ। বিশেষ অতিথি এবং আলোচক ছিলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতপূর্ব অধ্যাপক ড. জয়ন্ত কুমার গুপ্ত, আকাশবাণীর প্রাক্তন অধিকর্তা সৈয়দ কওসার জামাল, কবি প্রাবন্ধিক ও রবীন্দ্র গবেষক পার্থ সারথী গায়েন সহ আরও অনেকেই। সভাপতিত্বে ছিলেন উদযাপন কমিটির প্রেসিডেন্ট অরবিন্দ সরকার এবং সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন বিধানেন্দু পুরকায়েত ও স্বপ্নাঞ্জন গোস্বামী।

এসময় সাহিত্য সুবর্ণ চতুর্থ বর্ষ সংখ্যার মলাট উন্মোচন সহ জ্ঞানগর্ভ পর্যালোচনা পর্ব চলে। বাংলাদেশ, ভারতের ত্রিপুরা, উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গের কবিরা সাহিত্য সভায় অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানটি দুই বাংলার শিল্প সাহিত্য ও সংস্কৃতির মিলনমেলায় পরিণত হয়। দুই বাংলার চলমান সাহিত্য এবং কবি সাহিত্যিকদের নিয়ে বিশেষ আলোচনা করা হয়। পরিশেষে সাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য ভারতের চারজন এবং বাংলাদেশের তিনজনকে উত্তরীয় সহ সাহিত্য সম্মাননা পুরস্কার প্রদান করা হয়।

পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন অমরেন্দ্র কালাপাহাড় এবং রাজা দেবরায়, ভ্রমণ রসনা পুরস্কার শম্পা বণিক এবং বিশিষ্ট সম্পাদক পুরস্কার সহ আরো পাঁচজনকে সম্মানিত করেন, এর ভেতর ছিলেন বাংলাদেশের কবি ও গবেষক এবং World Wide Writers Association এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মুহাম্মদ শামসুল হক বাবু, কবি জাকিয়া সুলতানা শিল্পী এবং কবি রচনা পারভীন প্রমুখ।

সুচেতার নৃত্য এবং দীপন বাবুর আবৃত্তি সবাইকে মুগ্ধ করে। প্রফেসর ড. এমদাদ হোসেনের আতিথিয়েতা সবাইকে মুগ্ধ করে এবং সবশেষে তিনি আগতদের ধন্যবাদ জানিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন। এদিকে বাংলাদেশে ফিরে এসে নিজ এলাকায় এবং নিজের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সংবর্ধিত হয়েছেন ফরিদপুর নিবাসী গৌরবীকন্যা জাকিয়া সুলতানা শিল্পী। তিনি সামাজিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত এবং কবি জসীম উদ্দীন স্কুল এন্ড কলেজে কর্মরত।

এসময় জাকিয়া সুলতানা শিল্পী বলেন, কবির লেখনী প্রমান করিয়ে দেয় লেখালেখির মাধ্যমে একটি সুন্দর সমাজ গড়া যায়। ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা প্রদানের জন্য তার বন্ধু এবং সহপাঠী মুহাম্মদ শামসুল হক বাবুকে কৃতজ্ঞতাচিত্তে তিনি স্মরণ করেন। জাকিয়া সুলতানা শিল্পীর সফলতায় এলাকায় মিষ্টি বিতরণ করা হয়।

(ওএস/এসপি/ডিসেম্বর ০৮, ২০২৩)