রিপন মারমা, রাঙামাটি : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যালট পেপারের কাগজ রাঙামাটি কাপ্তাইয়ে চন্দ্রঘোনাস্থ কর্ণফুলী পেপার মিলস (কেপিএম) থেকে নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইতোমধ্যে ব্যালট পেপারের কাগজ উৎপাদন ও সরবরাহ শুরু করেছে কেপিএম কর্তৃপক্ষ।

জানা গেছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালট পেপারের মাধ্যমেই ভোট গ্রহণ হবে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে কাপ্তাই উপজেলাধীন কর্ণফুলী পেপার মিলস (কেপিএম) থেকে জাতীয় নির্বাচনের ব্যালট পেপার ছাপাতে নির্বাচন কমিশন প্রায় ১৬শ’ মেট্রিক টন কাগজ সংগ্রহের অর্ডার দিয়েছে। ইতোমধ্যে কেপিএম কর্তৃপক্ষ চাহিদানুযায়ী কাগজ তৈরি এবং নির্বাচন কমিশনকে সরবরাহ করা শুরু করেছে।

কেপিএম সিবিএ সভাপতি আবদুর রাজ্জাক ও সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বাচ্চু বলেন,
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে ব্যালট পেপার ছাপানোর জন্য নির্বাচন কমিশন কেপিএম থেকে ১৬শ মেট্রিক টন কাগজের চাহিদা দেওয়ায় কারখানার শ্রমিক কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের মধ্যে আনন্দ ফিরে এসেছে। এভাবে যদি কেপিএম থেকে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান কাগজ ক্রয় করে তবে কেপিএম আবার ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব হবে।

কেপিএম সূত্রে জানা গেছে, গত অক্টোবর মাস থেকে কয়েক ধাপে বেশ কিছু নির্বাচনী কাগজ নির্বাচন কমিশন অফিসে সরবরাহ করা হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় গেল ৭ নভেম্বর আরও ৭টি ট্রাকে নির্বাচনী ব্যালটের কাগজ সরবরাহ করেছে কর্ণফুলী পেপার মিল (কেপিএম)।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কেপিএমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক একেএম আনিসুজ্জামান তিনি আরও জানান, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যালট পেপার ছাপানোর জন্য নির্বাচন কমিশন কর্ণফুলী পেপার মিলস থেকে সাদা, লাল ও সবুজ রঙের মোট ১৬শ’ মেট্রিক টন কাগজের চাহিদা দিয়েছে। এসব কাগজের মূল্য প্রায় ২০ কোটি টাকা। নির্বাচন কমিশনকে যথাসময়ে কাগজ সরবরাহ করার জন্য কেপিএম কর্তৃপক্ষ সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া কাগজ উৎপাদনের জন্য কাঁচামাল হিসেবে বিদেশ থেকে প্রয়োজনীয় পাল্প নিয়ে আসা হয়েছে।

কেপিএমের অপর একটি সূত্র জানায়, ৭৫ বছরের পুরাতন এই কর্ণফুলী কাগজ কল। তা সত্ত্বেও কারখানাটি আজও তার গুনগত মান ঠিক রেখে উন্নতমানের কাগজ উৎপাদন করতে পারছে। ফলে নির্বাচন কমিশন কেপিএম থেকেই কাগজ সংগ্রহ করছে। তবে নির্বাচন কমিশনকে দফায় দফায় এসব ব্যালটের কাগজ সরবরাহ করবে কেপিএম কর্তৃপক্ষ। বিশেষ করে তফসিল ঘোষণার পর সিডিউল অনুযায়ী যারা প্রার্থী হবেন এবং প্রার্থীরা কে কোন প্রতীক বরাদ্দ পাবেন তার ওপর নির্ভর করে ব্যালট পেপার ছাপানো হবে। কাজেই প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই পুরোদমে নির্বাচন কমিশনকে কাগজ সরবরাহ করবে কেপিএম।

মিলের মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) আব্দুল্লাহ আর মাহমুদ বলেন, নানাবিধ প্রতিকূলতা সত্ত্বেও সর্বস্তরের শ্রমিক কর্মচারী এবং কর্মকর্তারা নির্বাচন কমিশনকে চাহিদানুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাগজ সরবরাহ করতে পরিশ্রম করে যাচ্ছে। আশা করা হচ্ছে, যথা সময়ের মধ্যে সব কাগজ সরবরাহ করা সম্ভব হবে।

(আরএম/এসপি/ডিসেম্বর ১৭, ২০২৩)